ভারতের তরফে নানা দৌত্য এবং বার্তার পরেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপরে চড়া হারে শুল্ক বসানোর ব্যাপারে অনড়। তাই এ বার বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে তড়িঘড়ি আমেরিকা পাঠাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। অন্য সব কর্মসূচি বাতিল করে রবিবার রাতেই আমেরিকা রওনা হয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাজেটে আমেরিকা থেকে আমদানি করা হুইস্কি থেকে মোটরবাইকের মতো একগুচ্ছ পণ্যে মোদী সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। তার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরে ভারত আমেরিকা থেকে আরও তেল, গ্যাস, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে রাজি হয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে ভারতের বাজার আমেরিকার পণ্যের জন্য আরও খুলে দেওয়ার বিষয়েও নীতিগত ভাবে সম্মত হয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু তার পরেও ট্রাম্প বলছেন, আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে চড়া শুল্ক চাপায় ভারত। তাই তিনিও পাল্টা চড়া শুল্ক চাপাবেন।
এই পরিস্থিতিতে পীযূষ গয়াল আমেরিকা রওনা হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব রাজেশ আগরওয়াল। যিনি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দরাদরির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। সরকারি সূত্রের খবর, পাল্টা চড়া শুল্ক থেকে রেহাই পেতেই বাণিজ্যমন্ত্রীর এই আমেরিকা সফর। পাশাপাশি তিনি আমেরিকার নতুন বাণিজ্য নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের থেকে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ারও চেষ্টা করবেন। ট্রাম্প প্রশাসনকে বোঝানোর চেষ্টা হবে, দুই দেশ যখন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে, তখন একটি দেশের নতুন করে চড়া শুল্ক বসানো উচিত নয়।
ট্রাম্প এপ্রিলের গোড়াতেই ভারতের উপরে পাল্টা চড়া শুল্ক বসাবেন বলে ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই জনমত চাওয়া হয়েছে। তার আগেই সক্রিয় হয়ে ট্রাম্পকে থামাতে চাইছে নয়াদিল্লি। পীযূষ গয়ালের আমেরিকা সফরে তাঁর সঙ্গে আমেরিকার নতুন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের বৈঠক হবে। এ ছাড়া, আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গেও গয়ালের বৈঠক হতে পারে। এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক রূপরেখা নিয়েও কথা হতে পারে বলে বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন।
- দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
- পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
-
২১:১৪
‘অনেকেই করে, জরিমানা শুধু ভারতের!’ আমেরিকার ৫০% শুল্ক আরোপ ‘অন্যায্য’, কঠোর বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক -
১৩:০৫
‘প্রশ্নই ওঠে না’! ট্রাম্পকে ফোনের সম্ভাবনা ওড়ালেন ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট লুলা, বললেন, ‘শি-মোদীদের সঙ্গে কথা বলব’ -
০৯:৫০
রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু! নতুন করে শুল্ক হুঁশিয়ারির পরদিনই মস্কোয় পৌঁছোলেন ডোভাল -
ট্রাম্পের আস্ফালন থামছে না! রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের উপর আরও শুল্ক চাপানোর হুমকি
-
কোনও শুল্কযুদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞাই ইতিহাসের ধারাকে বদলে দিতে পারবে না! বন্ধুরাষ্ট্রদের মার্কিন হুমকি নিয়ে বিবৃতি রাশিয়ার
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)