সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় কুম্ভমেলায় পদপিষ্ঠের প্রসঙ্গ ওঠায় সমবেত ছিছিক্কার শোনা গেল অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত সাংসদদের কণ্ঠে। তবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই কুম্ভের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনারর কথা বললেন, তখন নীরবই ছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তার ইংরেজি অনুবাদের কিছুটা দীর্ঘ অংশ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় পড়ার সময় কুম্ভের প্রসঙ্গ এলে বিরোধীরা সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানান। প্রসঙ্গত, গত অধিবেশনে ধনখড়ের পক্ষপাতদুষ্ট আবতরণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন বিরোধীরা।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় বলেছেন, “মৌনী অমাবস্যার দিন যে দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাকুম্ভে, তার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করছি, আহতদের দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনা জানাচ্ছি।” পরে কুম্ভ নিয়ে আলাদা করে সংসদে আলোচনা চেয়েছেন বিরোধীরা। সূত্রের খবর, তাতে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। লোকসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কুম্ভের ঘটনা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় সপা। তা সমর্থন করে তৃণমূল-সহ সব বিরোধী দলই। স্পিকার ওম বিড়লা জানান, সরকার পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানাবেন কী করা যায়।
কুম্ভমেলায় ভিভিআইপি-দের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার সমালোচনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এটা কখনওই উচিত হয়নি। যদি এখানে (গঙ্গাসাগরে) এমন কিছু ঘটত, তা হলে ওরা (বিজেপি) রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করত!’’ লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “কুম্ভকে পুরোটাই ভিআইপি-দের উৎসব করে দেওয়া হয়েছে।” আজই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কয়েকটি দেশ থেকে কূটনীতিক আসবেন কুম্ভ দর্শনে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)