পটনায় বছর পঁচিশের এক নার্সকে ব্যস্ত রাস্তায় কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম সোনি কুমারী। তিনি পুর্ণিয়ার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোনি কুমারী পটনারই একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নার্স। হাসপাতাল থেকে হাঁটা পথেই হস্টেল। সেখানেই থাকতেন তিনি। প্রতি দিনের মতো শনিবারও কাজ শেষে তিনি হস্টেলের দিকে হেঁটে ফিরছিলেন। তখন বিকেল ৪টে। রাস্তাতেও তখন বেশ ভিড় ছিল।

আচমকাই এক ব্যক্তি সোনি কুমারীর পথ আটকে দাঁড়ান। তাঁর সঙ্গে ওই ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। তার পরই সোনি কুমারীকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা যখন ঘটছিল পথচারীদের কয়েক জন হামলাকারীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই বাধা পেয়েই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এর পরই সোনি কুমারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পারিবারিক শত্রুতার জেরে এই হামলা করা হয়েছে। কিন্তু হামলার নেপথ্যের আসল কারণ কী তা খতিয়ে দেখছে তারা। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ব্যস্ত রাস্তায় আচমকাই এক তরুণীকে কোপাতে শুরু করেছিলেন এক ব্যক্তি। দু’জনে মধ্যে ধস্তাধস্তি হচ্ছিল। তরুণীকে বেশ কয়েক বার কোপানো হয়। পথচারীরা তেড়ে গেলে হামলাকারী চম্পট দেন। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।