—প্রতীকী ছবি।
ক্ষমতায় এলে তাঁর সরকার মানব পাচার ও মাদক চক্রকে রেয়াত করবে না বলে দাবি করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এই দুই সমস্যা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না রাজ্যে।
মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশব্যাপী অভিযানের সময়ে ত্রিপুরা থেকে সবচেয়ে বেশি (২০ জন) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। এ দিন রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় মহকুমা থেকে এক জন মানব পাচারকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিশালগড় থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার রাণা চট্টপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ সকালে ওই মহকুমা থেকে মানবপাচারের অভিযোগে হান্নান মিয়াঁকে গ্রেফতার করা হয়।’’ তিনি জানিয়েছেন, হান্নান এনআইএ-র একটি মামলায় অভিযুক্ত। তাকে এ দিনই কোর্টে পেশ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এনআইএ-র গুয়াহাটি দফতরে খবর দেওয়া হয়। হান্নানকে হেফাজতে নিতে আগরতলায় আসে এক ডিএসপি-র নেতৃত্বাধীন এনআইএ-র দল। অভিযুক্তকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য কোর্টে কাছে ট্রানজ়িট রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে এনআইএ। তদন্তকারীদের মতে, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা ভারতে ঢোকার জন্য ত্রিপুরাকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে।
অন্য দিকে ত্রিপুরার ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত সংখ্যক জওয়ান নেই বলে দাবি বিএসএফ সূত্রের। ওই সীমান্তের ৬৭ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা যায়নি। সূত্রের বক্তব্য, মণিপুরে সংঘর্ষ, লোকসভা ভোটের জন্য ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে বাহিনী সরানো হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছে বিএসএফ।
বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর কথার কাজে প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বরং ক্রমশ মানব পাচারের কেন্দ্র হয়ে উঠছে ত্রিপুরা। এনআইএ প্রায় ২৭ জন মানব পাচারকারীকে রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy