Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bihar Assembly Election 2020

শপথের ৩ দিন পরেই ইস্তফা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার পটনায় মু্খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মেওয়ালাল চৌধুরী।

মেওয়ালাল চৌধুরি এবং নীতীশ কুমার— ফাইল চিত্র।

মেওয়ালাল চৌধুরি এবং নীতীশ কুমার— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১০
Share: Save:

শপথ নেওয়ার ৩ দিন পরেই পদত্যাগ করলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরি। বৃহস্পতিবার পটনায় মু্খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মেওয়ালাল।

জামুই জেলার তারাপুর কেন্দ্রের দ্বিতীয় বারের জেডি(ইউ) বিধায়ক মেওয়ালাল সোমবার মন্ত্রীপদে শপথ নেওয়ার পরেই বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছিল। ২০০৫-’১০ ভাগলপুরের বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধি বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ করেন বলে অভিযোগ। সে সময় মেওয়ালালের স্ত্রী নীতা তারাপুরের জেডি(ইউ) বিধায়ক ছিলেন।

২০১৫ সালে জেডি(ইউ)-র টিকিটে বিধানসভা ভোটে জেতেন মেওয়ালাল। ২০১৭ সালের গোড়ায় প্রকাশ্যে আসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। সরব হয় বিহারের তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপি। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ (৪০৯), জালিয়াতি (৪২০), অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০-বি)-সহ ভারতীয় দণ্ডিবিধির একাধিক ধারায় মামলাও রুজু হয়েছিল। সে সময় মেওয়ালালের গ্রেফতারির দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির পরিষদীয় নেতা সুশীল মোদী।

নবনির্মীত বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে ১৬৭ জন সহকারি অধ্যাপক, জুনিয়র সায়েন্টিস্ট এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সেই মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৫০-এরও বেশি। সেই মামলার তদন্ত এখনও চলছে। মেওয়ালালের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তিরও অভিযোগ উঠেছিল।

দুর্নীতির মামলা দায়ের হওয়ার পর তৎকালীন জেডি(ইউ) বিধায়ক মেওয়ালালকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছিলেন নীতীশই। সে সময় গ্রেফতারি এড়াতে মেওয়ালাল গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বেশি দিন সেই শাস্তি বহাল থাকেনি। এ বারের ভোটেও দলের টিকিট পেয়ে বিধায়ক হন মেওয়ালাল। ভোটে জিতে প্রথম বার মন্ত্রীও হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ভোট বানচালে সক্রিয় পাকিস্তান, জানাল গোয়েন্দা রিপোর্ট

মেওয়ালালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার প্রসঙ্গ তুলে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বুধবার টুইটারে লেখেন, ‘একজন পলাতক অপরাধীকে রাজ্যের মন্ত্রী করা হল’।

মেওয়ালাল অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মামলার কথা জানিয়েছি। পুলিশ এখনও আমার বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি।’’ যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁর এই ‘সাফাই’য়ে নীতীশ সন্তুষ্ট না হয়ে ইস্তফার নির্দেশ দেন বলেই জেডি(ইউ) সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: মেলেনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বড়দিনের আগেই বাজারে টিকা, জানাল ফাইজার-সহযোগী

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy