প্রতীকী ছবি।
অসমে বেড়াতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন নেপালের এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ছোট করে চুল ছাঁটা, পুরুষদের পোশাক পরার জন্য এক দল ব্যক্তি তাঁকে প্রথমে কটাক্ষ করেন। মহিলা হয়েও কেন পুরুষদের মতো চুল ছেঁটেছেন, কেন তাঁদের মতো পোশাক পরেছেন, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পোশাকও। সেই অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন ওই তরুণী।
তাঁর দাবি, গত ১ এপ্রিল তিনি অসমের মারিয়ানিতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কয়েক জন তাঁর গাড়ি থামিয়ে টেনে বার করেন। ওই দলে এক জন মহিলাও ছিলেন। তরুণীর দাবি, সেই মহিলাই তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন সঙ্গীদের। শুধু তাই-ই নয়, তিনি মহিলা, না পুরুষ, তা পরীক্ষাও করতে বলেন ওই মহিলা। প্রতিবাদ করলে তাঁকে জাত তুলেও গালাগাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
হেনস্থার শিকার হয়ে নেপালি তরুণী স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে দাবি তাঁর। পুলিশকর্মীরা তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। এমনকি, তাঁকে আদালতে গিয়ে অভিযোগ জানানো পরামর্শ দেন। তরুণীর দাবি, “থানায় যখন গিয়েছিলাম, আমার পোশাক নিয়ে হাসাহাসি করেছিলেন পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশের ভাল সম্পর্ক থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। বরং আমি অভিযোগ জানাতে গেলে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়।” তরুণীর আরও অভিযোগ, তিনি মহিলা কি না প্রমাণ করতে বাধ্য করা হয়।
তরুণী বলেন, “ওঁরা আমার পোশাক কেড়ে নিয়েছিলেন। আমাকে মারধর করেন। আমাকে বেআব্রু করে দেন। হেনস্থা যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল, মনে হয়েছিল আমি আত্মহত্যা করি।” সুবিচারের আশায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তরুণী। সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্টের পরই অসম পুলিশ জানিয়েছে, একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy