কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরোধিতায় সরব রয়েছেন চন্দ্রশেখর রাও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ‘স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি’ উদ্বোধনে হায়দরাবাদে গেলে তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যাননি চন্দ্রশেখর রাও।
নরেন্দ্র মোদী এবং কে চন্দ্রশেখর রাও। —ফাইল চিত্র।
পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হিসাবে নিজেকে প্রতিপন্ন করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচে কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তিনি। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর এমন বিজেপি বিরোধিতার মধ্যেই আজ তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাল্টা সৌজন্যের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও রাজনীতির অনেকের মতে, কেসিআর যে বিজেপির সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলেন, তা স্পষ্ট। তেলঙ্গানায় দলের স্বার্থে কেসিআর মুখে বিজেপি বিরোধিতার ডাক দিলেও আজ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উল্টে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরোধিতায় সরব রয়েছেন চন্দ্রশেখর রাও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ‘স্ট্যাচু অব ইক্যুয়ালিটি’ উদ্বোধনে হায়দরাবাদে গেলে তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যাননি চন্দ্রশেখর রাও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমলাদের নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ভূমিকা বৃদ্ধির সমালোচনাতে সরব হয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এমনকি কেন্দ্র বিরোধী শক্তিগুলিকে এক জোট করার লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করার কথা রয়েছে চন্দ্রশেখরের। লক্ষ্য ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মোদী-বিরোধী শক্তিগুলিকে এক জোট করে বিকল্প শক্তি গড়া। যে জোটের রশি থাকবে চন্দ্রশেখরের হাতে। আর জোটের ভরকেন্দ্রে থাকবেন কেসিআর স্বয়ং।
সমস্যা হল, গত কয়েক বছর ধরেই সংসদীয় রাজনীতিতে বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করে এসেছে চন্দ্রশেখরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। সংসদে, বিশেষ করে রাজ্যসভায় যখনই সাংসদ সংখ্যার অভাবে সমস্যায় পড়েছে বিজেপি, তখনই ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থেকে শাসক শিবিরকে সুবিধে করে দিয়েছে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে রাওয়ের ওই বিকল্প শক্তি হিসাবে উঠে আসার প্রচেষ্টার পিছনেও অনেকে মনে করছেন বিজেপির ইন্ধন রয়েছে। বিরোধী শক্তিগুলির মধ্যে গোড়াতেই ভাঙন ধরাতে চন্দ্রশেখর রাও-কে বিরোধী মুখ হিসাবে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার পিছনে বিজেপির ইন্ধন রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনীতির অনেকের মতে, হায়দরাবাদ তথা তেলঙ্গানার স্থানীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতেও যে ভাবে বিজেপি শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন চন্দ্রশেখর রাও। বিশেষ করে হায়দরাবাদ পুরসভা ভোটে বিজেপি মূল বিরোধী হয়ে ওঠার পরে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল রাজ্যে ক্ষমতায় আসা। আগামী বছর তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গেই যে তাঁর দলের মূল লড়াই হতে চলেছে, তা বুঝতে পারছেন চন্দ্রশেখর। তাই পরিকল্পিত ভাবে এখন থেকেই প্রকাশ্যে বিজেপির বিরোধিতা ও তাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তায় সেই প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল বলেই মত অনেকের। আজ প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, “তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেসিআর গারু(জি)-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ওঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করি।’’ তবে ওই শুভেচ্ছার মধ্যে রাজনীতি নেই বলেই দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীদের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। এটা শিষ্টাচার। এর মধ্যে রাজনীতি না খোঁজাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy