ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে সফর করলে তিনি খুবই খুশি হবেন। তবে ভবিষ্যতে তাঁর নয়াদিল্লি সফরের বিষয়টি যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি ও ভারতের মনোভাবের উপর নির্ভর করবে বলেই মনে করছেন তিনি। এ দিকে, মোদীর ইউক্রেন সফর যুদ্ধ থামাতে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে বলেই মতপ্রকাশ করেছে আমেরিকা।
তিন দশক আগে ইউক্রেনের জন্মের পর থেকে এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী সে দেশে গেলেন। মোদী প্রায় নয় ঘণ্টার ইউক্রেন সফরে জ়েলেনস্কির সঙ্গে যে সব বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তার মধ্যে যুদ্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়ার ভূমিকা, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনার বিষয়টি রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য, ‘‘এই বিষয়ে বিস্তৃত ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে ইউক্রেনকে আমরা অপরিশোধিত তেলের বাজারের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। অনেকের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে তেলের বাজারে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সময়েই বাধ্যবাধকতা থেকে যায়। তবে ভারত মনে করে, আন্তর্জাতিক স্তরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তেলের দাম লাগামছাড়া হওয়া উচিত নয়।’’
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। তা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে ভারত অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে। গোটা দুনিয়ায় তেল আমদানিকারক দেশগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। আর রাশিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ করে থাকে ভারত। গত বছরে এই আমদানির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জ়েলেনস্কিকে এই বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান ও যুক্তি শুনিয়েছেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy