নড্ডা ও শাহ। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে চার দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু অসমে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, বাংলার বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলনেতাই বা কে হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন। নড্ডা গত দু’দিন পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন। দিল্লিতে ফিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি অমিত শাহের বাসভবনে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক চলে। তার আগে নড্ডা বিজেপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অসমে সর্বানন্দ সোনোয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, না কি তাঁর বদলে হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে পর্যবেক্ষকদের অসমে পাঠানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল। সেখানেও বিজেপিকে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের মধ্যে থেকে কাউকে বিরোধী দলনেতা ঠিক করতে হবে। বিজেপি সূত্রের খবর, অমিত শাহের সঙ্গে নড্ডার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অসম থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পর্যবেক্ষক ফিরে এলে তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডাকা হবে বলে বিজেপি নেতারা মনে করছেন। এ বিষয়ে আরএসএস-এর মতামতও গুরুত্ব পাবে। দিল্লি-নাগপুরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে অসমে বিজেপি নেতাদের মুখে কুলপ এঁটে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ নতুন বিধায়কদের অনেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিমন্তবিশ্ব শর্মার নাম বলছিলেন। হিমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চাপ দেওয়া চলছিল বিভিন্ন মহল থেকে, বিভিন্ন উপায়ে। কিন্তু দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে রাজ্যের নেতা-বিধায়কেরা যেন আর সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলেন।
দলীয় সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে হিমন্তর লোকসভা ভোটে দাঁড়ানো ও জিতলে কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে নাগপুরের নির্দেশে ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা বানচাল হয়ে যায়। এ’বারে রাজ্যের পরিস্থিতি হিমন্তর গদিলাভের অনুকূল হলেও আরএসএসের অনেকে এখনও হিমন্তর পক্ষে নন। এ’বারেও মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলে শুধু অসম নয়, গোটা উত্তর-পূর্বে বিজেপি জোটের শাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম কান্ডারি হিমন্ত কী পদক্ষেপ করতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে বরাবরের মতোই নীরব সুচতুর রাজনীতিবিদ সর্বানন্দের গোষ্ঠী। আরএসএস তাঁর প্রতি সদয়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিও তাঁর পক্ষে।
মুখ্যমন্ত্রী ঠিক না-হলেও অসমে মন্ত্রিসভা নিয়ে বিজেপি ও জোট শরিকদের টানাপড়েন চলছে। বর্তমান বিজেপি ও অগপ মন্ত্রীদের কেউই জায়গা ছাড়তে নারাজ। এ দিকে ইউপিপিএল গত বার বিজেপির জোট শরিক বিপিএফের মতোই ৩ মন্ত্রী চাইছে। কিন্তু তাদের ৬ বিধায়কের সকলেই নতুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy