—প্রতীকী চিত্র।
হিংসাদীর্ণ মণিপুরে এ বার নিশানায় পুলিশ। রাজধানী ইম্ফলে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের দফতরের অদূরে। বুধবার রাতে উত্তেজিত জনতা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর লাগোয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে ফেলেছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি। সেখান থেকে গুলির শব্দও শোনা গিয়েছে। আক্রান্ত পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মায়ানমার-মণিপুর সীমান্তের টেঙ্গনৌপলে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মোরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিওপি) চিংথাম আনন্দ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে মেইতেই যুব সংগঠন আরমবাই টেঙ্গোল বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে। সেই আন্দোলন থেকেই ইম্ফলে অশান্তি ছড়ায় রাতে। ঘটনাচক্রে, বুধবারই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ পড়শি রাজ্য মিজ়োরামে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে দাবি করেছিলেন, মণিপুরে শান্তি ফিরে আসছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত হওয়ার পরেই নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও শান্তি ফেরার কোনও ইঙ্গিত নেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy