ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল মাওবাদী নেত্রী রেণুকা ওরফে বানুর। মাওবাদীদের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী শাখার ভারপ্রাপ্ত এই নেত্রীকে দীর্ঘ দিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। রেণুকার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা।
সোমবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়ায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। মাওবাদ-বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেয় ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-এর নেতৃত্বাধীন একটি দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় ছত্তীসগঢ়-কর্নাটক সীমানার দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর জেলায়।
মাওবাদ-বিরোধী এই অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীকে সহায়তা করে ছত্তীসগঢ়ের গিদম পুলিশ থানা এবং কর্নাটকের বিজাপুর জেলার ভৈরামগড় পুলিশ থানা। গুলিযুদ্ধের পর ওই এলাকা থেকে ইনস্যাস রাইফেল এবং অন্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে সশস্ত্র বাহিনী।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রেণুকা আদতে তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে ‘মাওবাদী-মুক্ত’ করার ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে বিজেপি ছত্তীসগঢ়ের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সর্বশক্তি দিয়ে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কেবল বস্তার রেঞ্জেই ১১৯ জন মাওবাদী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হত হয়েছেন।