তিন সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী বাবা। এ বার ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করেছেন ৩৬ বছরের সানাউল আনসারি। পরে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। কেন এই পদক্ষেপ করলেন সানাউল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সানাউল পেশায় রাজমিস্ত্রি। ছোট একটি দোকানও রয়েছে তাঁর বাড়িতে। রমজানের ‘সেহরি’ (উপবাসের আগে খাওয়া)-র জন্য সানাউলকে রবিবার ভোরে ডাকতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলেননি। তাতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজা খুলে দেখেনে সানাউলের ঝুলন্ত দেহ। কাছে পড়ে রয়েছে তাঁর তিন সন্তানের দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সানাউলের তিন সন্তানের নাম হল আফরিন পরভিন (১২), জাইবা নাজ (৮), সাফাউল আনসারি (৪)।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খোখারা থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন দুমরির সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) সুমিত প্রসাদ। চার জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গিরিডি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে জামদাহে বাপের বাড়ি থেকে গিরিডি এসে পৌঁছেছেন সানাউলের স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। এসডিপিও সুমিত জানিয়েছেন, কেন এই পদক্ষেপ করেছেন সানাউল, তা খোঁজার চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি, কলকাতার কসবায় আড়াই বছরের শিশুপুত্র এবং স্ত্রীকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক অটো চালক। তার আগে ট্যাংরায় চামড়া ব্যবসায়ী এক পরিবারের ছ’জন সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তিন মহিলা সদস্যেরা মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য বেঁচে রয়েছেন।