মহারাষ্ট্রের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে হত্যা করার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে হল মহারাষ্ট্রের ‘মহাজুটি’ সরকারের মন্ত্রী তথা এনসিপি (অজিত) নেতা ধনঞ্জয় মুন্ডেকে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকারি বাসভবনে সচিব মারফত পদত্যাগপত্র পাঠান ধনঞ্জয়। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করে ধনঞ্জয়কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফডণবীস।
গত ডিসেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের বীড জেলায় সন্তোষ দেশমুখ নামের এক পঞ্চায়েতপ্রধান খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশের সিআইডি। খুনের ঘটনায় জড়িত সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এক অভিযুক্তের নাগাল এখনও পায়নি পুলিশ। ধৃত সাত জনের মধ্যে এক জন হলেন বাল্মীক করাড। বাল্মীক ধনঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবেই পরিচিত।
মহারাষ্ট্রের খাদ্য এবং সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ধনঞ্জয়। গত কয়েক দিন কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ)-এর মতো মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলি ধনঞ্জয়ের ইস্তফা দাবি করে সরব হয়েছিল। সূত্রের খবর, বিরোধীরা সুর চড়াতেই সোমবার গভীর রাতে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি প্রধান অজিত পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন ফডণবীস। ধনঞ্জয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক হয় অজিতেরও। ওই সূত্রের দাবি, সেখানেই ধনঞ্জয়ের ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি এক প্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
ইস্তফা দেওয়ার নেপথ্যে শারীরিক অসুস্থতাকেও দায়ী করেছেন ধনঞ্জয়। জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতপ্রধান হত্যাকাণ্ডে দোষীদের কঠোর সাজা চান তিনি। তবে এত দিন পরে কেন ধনঞ্জয় ইস্তফা দিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।