Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kerala

কেরলের পদ্মনাভ মন্দিরের পরিচালন ভার ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবারের হাতেই, রায় সুপ্রিম কোর্টের

আদালতের নির্দেশে মন্দিরের ছ’টির মধ্যে পাঁচটি ভাঙার পর বিপুল সোনাদানা ও বহুমূল্য রত্নসামগ্রী পাওয়া যায়।

তিরুঅনন্তপুরমের এই মন্দিরের পরিচালন ঘিরেই বিতর্ক। ফাইল চিত্র

তিরুঅনন্তপুরমের এই মন্দিরের পরিচালন ঘিরেই বিতর্ক। ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০ ১৪:২৭
Share: Save:

তিরুঅনন্তপুরমের পদ্মনাভ স্বামী মন্দির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জয় পেল ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবার। সেই সঙ্গেই কার্যত অবসান হল ন’বছর ধরে চলা বিতর্কের। ২০১১ সালের কেরালা হাইকোর্টের রায় খারিজ করে রাজ পরিবারের পক্ষেই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেরালা হাইকোর্টের রায় ছিল, ওই মন্দিরের সমস্ত স্বত্ত্ব ও পরিচালনার ভার রাজ পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ট্রাস্টের অধীন থেকে নিয়ে সরকারের হাতে দিতে হবে।

রায়ের পর রাজ পরিবারের সদস্যা গৌরী লক্ষ্মীবাই বলেছেন, ‘‘ঈশ্বরের ইচ্ছাই প্রতিষ্ঠিত হল। পুর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর বিশদে বলব।’’ রায়ের পরেই উচ্ছ্বসিত ভক্ত ও সেবায়েতরাও। মন্দিরের বাইরে মিষ্টি বিতরণ শুরু করেন তাঁরা। অনেককে আনন্দে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কেরল সরকারও। ‘‘আমরা সব সময়ই আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করেছি, এখনও তাই করব’’, বলেছেন কেরলের দেবস্বম মন্ত্রী কাডাকামপল্লি সুরেন্দ্রণ।

এই রায় কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? ষষ্ঠ শতাব্দীতে ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরের অভ্যন্তরে বিপুল পরিমাণ সোনাদানা ও ধনসম্পদ গচ্ছিত রাখা আছে বলে ভক্ত ও স্থানীয়দের বিশ্বাস ছিল। ২০১১ সালে কেরল হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মন্দিরের গোপন কুঠুরিতে রাখা যাবতীয় সম্পত্তির হিসাব করতে হবে। মন্দিরে ছিল ছ’টি ভল্ট। মালয়ালম ভাষায় এই ভল্টগুলিকে বলা হয় ‘কল্লরা’। আদালতের নির্দেশে সেই ছ’টির মধ্যে পাঁচটি ভাঙার পর বিপুল সোনাদানা ও বহুমূল্য রত্নসামগ্রী পাওয়া যায়। ওই সম্পত্তির মোট পরিমাণ আনুমানিক ৯০ হাজার কোটি টাকা বলে তখন মূল্যায়ন করা হয়েছিল। তবে তার মধ্যে একটি কল্লরা এখনও খোলা সম্ভব হয়নি। সেটি আদালতের তত্ত্বাবধানে রাখার কথা বলা হয়।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যাচ্ছি না’, দলবদলের জল্পনার মাঝেই বলছেন সচিন

আরও পড়ুন: বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, উত্তপ্ত হেমতাবাদ, তীব্র আক্রমণে বিজেপি

অন্য দিকে হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। এর পর ২০১২ সালে বর্ষীয়ান আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যমকে অ্যামিকাস কিউরি বা ‘আদালত বন্ধু’ নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত। তিনি ২০১৪ সালে মন্দিরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টের কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন। তার ভিত্তিতে ওই বছরই সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী নির্দেশে সরকারের গঠিত ট্রাস্টের হাত থেকে মন্দিরের পরিচালন ভার সরিয়ে রাজ পরিবারের সদস্যকে মাথায় বসিয়ে নতুন ট্রাস্ট গঠন করে। দীর্ঘ শুনানির পর সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি উদয় ইউ ললিতের নেতৃত্বে বেঞ্চ সোমবার রাজ পরিবারের নেতৃত্বাধীন ট্রাস্টের হাতেই পরিচালন ভার রাখার নির্দেশ দিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy