(বাঁ দিকে) কান্নুরের জেলাশাসক এন প্রশান্ত। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এ জয়তিলক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি এক জন আমলা। আবার সমাজমাধ্যমে তিনি ‘কালেক্টর ব্রো’ নামে পরিচিতি। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় রোষের মুখে পড়তে হল কেরলের কান্নুরের আইএএস অফিসার এন প্রশান্তকে। সমাজমাধ্যমে ঊর্ধবতনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করায় জেলাশাসক প্রশান্তকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
২০০৭ আইএএস ব্যাচের এই আধিকারিক রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের সমালোচনা করেন। অভিযোগ, সমাজমাধ্যমে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এ জয়তিলককে ‘মনোরোগী’ বলে কটাক্ষ করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ভুল খবর ছড়ানোর জন্য মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রশান্ত। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নেমে আসে ‘শাস্তির’ খাঁড়া। তবে সাসপেন্ড হয়েও খুব একটা বিচলিত নন ‘কালেক্টর ব্রো’। বরং তিনি দাবি করেছেন, আইএএস হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য নয়, তাঁর আরও অনেক বিষয়ে আগ্রহ আছে।
সাসপেন্ড হওয়ার পর এক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রশান্ত বলেন, ‘‘এটি আমার কাছে একটি অভিনব অভিজ্ঞতা। সরকার বা তার নীতির সমালোচনা করাটা ভুল। পদক্ষেপ করা যেতেই পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি তো সরকারের কোনও সমালোচনা করিনি। ব্যক্তির ভুল প্রবণতার সমালোচনা করেছি।’’
কেরলের কান্নুরের বাসিন্দা প্রশান্ত। তিরুঅনন্তপুরমের লয়োলা স্কুল এবং সরকারি আইন কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৭ সালে আইএএস হন। ২০১৫ সাল কোঝিকোড়ে জেলাশাসক হিসাবে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই সমাজমাধ্যমে তিনি নানা রকম সাকারত্মক বার্তা দেওয়া শুরু করেন। আর তখন থেকেই সমাজমাধ্যমে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। তাঁর পরিচিতি বাড়তেই নিজেকে ‘কালেক্টর ব্রো’ নামে সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন। ফেসবুকে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৩ লক্ষেরও বেশি। ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা ৫০ হাজার। ‘কালেক্টর ব্রো: কুইকজ়োটিক থালালস’ নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy