দেশের প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বলে আজ রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।
রাজ্যসভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় গত কাল থেকে একাধিক বিরোধী সাংসদ জানিয়েছিলেন, দেশের দুর্গম ও প্রান্তিক এলাকার মানুষেরা চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন না। আজ সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নড্ডা বলেন, ‘‘সংবিধানের সপ্তম তফসিল অনুযায়ী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের। তাই সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে নিজের রাজ্যবাসীর চিকিৎসার দায়ভার নিতে হবে।’’ নড্ডা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্র স্বাস্থ্য খাতে রাজ্যগুলিকে অর্থ ও প্রযুক্তিগত সাহায্য দিতে বাধ্য থাকবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য নীতি রূপায়ণেও রাজ্যগুলি সাহায্য করার কথা কেন্দ্রের।
অধিকাংশ বিরোধী রাজ্যের সাংসদেরা স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানোর ব্যাপারে সওয়াল করেছেন। আজ সে প্রসঙ্গে নড্ডার দাবি, গত দশ বছরে ধারাবাহিক ভাবে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৩-১৪ সালে রাজ্য ও কেন্দ্র মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি-র ১.১৫ শতাংশ খরচ হত। বর্তমানে খরচ হয় জিডিপি-র ১.৮২ শতাংশ। নড্ডার দাবি, খুব দ্রুত জিডিপি-র আড়াই শতাংশ খরচ করা হবে স্বাস্থ্যখাতে। আজ নড্ডা এও দাবি করেন যে, একাধিক সরকারি স্বাস্থ্য নীতির সফল প্রয়োগে চিকিৎসা খাতে মানুষের খরচ কমেছে। দশ বছর আগে যেখানে পরিবারপিছু ৬২.৬ শতাংশ টাকা খরচ হত, এখন সেটা (২০২১-২২) কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৪ শতাংশে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)