লিপুলেখ পাসে কাঞ্চন উগুরসান্ডি। ছবি: সমাজমাধ্যম।
মোটরবাইকে চড়ে দুর্গম, প্রত্যন্ত লিপুলেখ পাসে পৌঁছে রেকর্ড গড়লেন ঝাড়খণ্ডের মেয়ে কাঞ্চন উগুরসান্ডি। নতুন তৈরি হওয়া এই রাস্তায় মোটরবাইক চালিয়ে তিনিই প্রথম পৌঁছলেন। কাঞ্চন জানিয়েছেন, তাঁর কৈলাস ও মানস সরোবর অভিযানের অংশ ছিল এই লিপুলেখ যাত্রা।
মাটি থেকে ১৭,৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত লিপুলেখ পাস দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের নজরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, নেপাল, চিন তিন দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে বিস্তৃত লিপুলেখ পাস। এই পথ বেয়েই পৌঁছতে হয় তিব্বত সংলগ্ন কৈলাস ও মানস সরোবরে। তবে এত দিন রাস্তা ছিল দুর্গম। সেনাবাহিনী কোনও মতে পৌঁছলেও সাধারণ মানুষ ও তীর্থযাত্রীরা অসুবিধায় পড়তেন। নেপাল কিংবা সিকিম হয়ে দুর্গম পথ পায়ে হেঁটে কৈলাস পৌঁছতে দু’সপ্তাহ লেগে যেত। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন ৩২ বছরের ডাকাবুকো কাঞ্চন। পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব করিডরের মতো এখানেও মানস সরোবর করিডর গড়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন’ এখানে নতুন রাস্তা করেছে। সেই রাস্তায় মোটর বাইকে চেপে তিনিই প্রথম অভিযাত্রী। দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় হয়ে সেই রাস্তা ধরে কাঞ্চন পৌঁছেছেন লিপুলেখ পাসে। এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেছেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে লিপুলেখ পৌঁছনোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু ধরচুলার কাছে দু’বার ধসে আটকে গিয়েছি। তিন বারের বেলা সফল হলাম।’’
‘বর্ডার গার্ল’ নামে জনপ্রিয় কাঞ্চন হিমালয়ের ২২টি পাস ইতিমধ্যে পেরিয়ে এসেছেন। গুজরাত, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের জ়িরো পয়েন্ট ছুঁয়েছেন তিনি। কাঞ্চন জানান, সীমান্তে পাহারারত সেনার মনোবল বাড়াতে তাঁর এই অভিযান। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসাধ্য-সাধন করছেন যাঁরা, সেই সব লড়াকু মেয়েদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy