এইচডি রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
জেলে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন জনতা দল সেকুলারের (জেডিএস) নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী এইচডি রেভান্না। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই খবর। বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে রেভান্নার চিকিৎসা শুরু হয়। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র রেভান্না জেলের মধ্যেই অসুস্থবোধ করেন। অসুস্থতার কথা জানার পরেই তাঁকে প্রথমে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই হাসপাতালে রেভান্নার যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছিল দেবগৌড়ার পুত্রের। চিকিৎসার পর তাঁকে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) অফিসে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে সিটের হাতে গ্রেফতার হন রেভান্না। এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কর্নাটক পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা। অপহৃত মহিলার পুত্র সম্প্রতি রেভান্না এবং তাঁর সঙ্গী সতীশের বিরুদ্ধে মাকে অপহরণ করার অভিযোগ আনেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অপহৃত মহিলা পাঁচ বছর ধরে রেভান্নার বাড়িতে কাজ করতেন। কিন্তু তিন বছর আগে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। অভিযোগ, গত ২৬ এপ্রিল রেভান্না-সঙ্গী সতীশ ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যান। সেই দিন অবশ্য ওই মহিলা বাড়ি ফিরে আসেন। তার পর গত ২৯ এপ্রিল আবার ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তার পর থেকে বাড়ি ফেরেননি তিনি। তার পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত মহিলার পুত্র। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আগাম জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। তার পরেই গ্রেফতার হন দেবগৌড়ার পুত্র।
এই মামলার পাশাপাশি ‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে রেভান্নার। তাঁর পুত্র প্রজ্বল রেভান্নাকেও ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো মামলায় খুঁজছে সিট। প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তার পর থেকেই দেশছাড়া তিনি। প্রজ্বলকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। জারি করা হয়েছে ব্লু কর্নার নোটিসও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy