কোনও মামলায় প্রাক্তন স্ত্রীকে কেন ‘ডিভোর্সি’ বলে উল্লেখ করা হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ হাই কোর্ট। আবেদনপত্রে প্রাক্তন স্ত্রীকে ‘ডিভোর্সি’ বলে উল্লেখ করাকে ‘অশোভন’ বলে মনে করছে আদালত। হাই কোর্টের বিচারপতি বিনোদ চট্টোপাধ্যায় কউলের পর্যবেক্ষণ, এতে মামলাকারীর মানসিকতা প্রতিফলিত হয়। বিচারপতির মতে, মামলায় প্রাক্তন স্ত্রীর নামের সঙ্গে ‘ডিভোর্সি’ এমন ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেন সেটি মহিলার পদবি বা জাত। প্রাক্তন স্ত্রীকে যদি ‘ডিভোর্সি’ বলে উল্লেখ করতে হয়, তবে প্রাক্তন স্বামীর নামের সঙ্গেও ‘ডিভোর্সার’ যুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।
প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টে মামলা করেন এক ব্যক্তি। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, ওই মামলায় প্রাক্তন স্বামীর আবেদনপত্র দেখে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি। আদালতের রেজিস্ট্রিকে তিনি জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের শব্দবন্ধ কোনও মামলায় ব্যবহার হলে সেগুলি যেন গ্রহণ করা না হয়। বিচারপতি জানান, এক জন মহিলার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ বেদনাদায়ক। এই রীতি বন্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করছেন তিনি। এ বিষয়ে হাই কোর্ট থেকে একটি নির্দেশিকা জারি হওয়া প্রয়োজন বলে মত বিচারপতি কউলের। সে জন্য হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, বিবাহবিচ্ছেদ বা দাম্পত্যকলহের মামলার ক্ষেত্রে এর আগেও বিভিন্ন হাই কোর্টে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় মহিলাদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাসখানেক আগে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় জানিয়েছিল, স্ত্রী মাথায় ঘোমটা দেন না বলে বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া যায় না। স্ত্রীর ঘোমটা না-দেওয়া স্বামীর প্রতি কোনও নিষ্ঠুর আচরণ নয় বলে পর্যবেক্ষণ ছিল আদালতের।