Advertisement
E-Paper
BB_2025_Lead Zero Banner

‘বেআইনি দখল বরদাস্ত নয়’, লাদাখে স্থিতাবস্থা চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা ভারতের

ভারত এবং চিন উভয়েই লাদাখে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সহমত হয়েছে। তার পরেও লাদাখের কিছু অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। চিনের ওই দাবির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানায় ভারতও। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর চিন সফরেও উঠে এসেছে লাদাখের প্রসঙ্গ।

লাদাখ সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি।

লাদাখ সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫০
Share
Save

ভারত এবং চিন উভয় পক্ষই কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ রাখার চেষ্টা শুরু করেছে। রবিবার দু’দিনের সফরে চিনে গিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক দফতরের প্রধান লিউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকও করেছেন তিনি। লাদাখে সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে দুই দেশ যে ঐকমত্যে এসেছে, তার বাস্তবায়ন নিয়ে কথা হয় দু’পক্ষের। পাশাপাশি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্বেগজনক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের। চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর।

বস্তুত, গত বছরেই ভারত এবং চিন দু’পক্ষই লাদাখে সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য সহমত হয়। সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও চিন সফর করে এসেছেন। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে লাদাখের কিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। বিদেশ মন্ত্রক তার প্রতিবাদ জানিয়ে স্পষ্ট করে দেয়, বেআইনি দখলদারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এই আবহে রবিবার লাদাখ সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বেআইনি দখল সংক্রান্ত এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ২৭ ডিসেম্বর। চিনা সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম চিনে দু’টি নতুন প্রদেশ তৈরি হয়েছে— হেয়ান প্রদেশ এবং হেকাং প্রদেশ। শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন এই দু’টি নতুন প্রদেশের কথা ঘোষণা করে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং স্টেট কাউন্সিলও এই দু’টি নতুন প্রদেশে অনুমোদন দিয়েছে বলে দাবি করা হয় সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানুয়ারির শুরুতে জানান, ওই ‘তথাকথিত প্রদেশগুলি’র একটি অংশ লাদাখের মধ্যে পড়ছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে বেআইনি ভাবে চিনা দখলদারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

এ ছাড়া তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপরে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’-র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, তিব্বতে ইয়াললুং জাংবো (তিব্বতি ভাষায় ব্রহ্মপুত্র যে নামে পরিচিত) নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধটি তৈরি হতে চলেছে। ভারত সীমান্তের অনতিদূরে তৈরি করা হচ্ছে বাঁধটি। তা নিয়ে ইতিমধ্যে বেজিংয়ের সঙ্গে একপ্রস্ত কূটনৈতিক কথাবার্তা সেরে নিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, উচ্চ অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্রহ্মপুত্রের নিম্ন অববাহিকায় কোনও ক্ষতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে চিন। মিস্রীর বেজিং সফরকালে এ বিষয়ে আরও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

মিস্রীর সফরের আগে বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা এবং দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে চিনের সঙ্গে।

Ladakh China Vikram Misri Ministry of External Affairs India China Border

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।