দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি এবং কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ হওয়ার প্রসঙ্গে আমেরিকার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল ভারত। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার আমেরিকার ‘নাক গলানো’কে ‘অবাঞ্ছিত’ বলে আখ্যা দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। জানিয়ে দিল, এর ফলে তাদের ‘গ্রহণযোগ্যতা’ কমবে। পাশাপাশি উপদেশের সুরে এ-ও বলা হল, ‘‘অন্যান্য রাষ্ট্রের উচিত ভারতের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা।’’
কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে এখনও পর্যন্ত দু’বার মন্তব্য করেছে আমেরিকা। কেজরীওয়াল যেন ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সময়োপযোগী বিচার পান, তা নিশ্চিত করার পক্ষেই সওয়াল করেছিল জো বাইডেন সরকার। যার জেরে গত বুধবার ভারতে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসের কার্যকরী সহকারী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে ভারতের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের করা মন্তব্যের নিন্দাও করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “কূটনীতিতে আশা করা হয় যে, দেশগুলি অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হবে। অন্যথায় খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।”
কিন্তু তার পর আমেরিকা নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল। দূতাবাসের কার্যকরী সহকারী প্রধানকে তলব করার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আমেরিকার দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর পুরনো বক্তব্যকেই আরও এক বার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায়, “আমেরিকা এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছ এবং অবাধ আইনি প্রক্রিয়ার দাবি জানায়।” শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফিজ়’ হওয়া প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান ম্যাথু। তিনি বলেন, “আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাদের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছে, সে সম্পর্কেও আমরা অবহিত রয়েছি। কংগ্রেসের দাবি, এর ফলে আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাতে তাদের অসুবিধার মুখে পড়তে হবে।”
আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি ভারত। এ দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে আমেরিকার মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নির্বাচনী এবং আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে এ ধরনের কোনও প্রচার কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’’ রণধীর আরও বলেন, ‘‘ভারতের বিচারপ্রক্রিয়া শুধু মাত্র আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারত তার স্বাধীন এবং শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গর্বিত। অযাচিত বাহ্যিক প্রভাব থেকে আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।’’
শুধু আমেরিকা নয়, কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিল জার্মানিও। জার্মানির তরফেও কেজরীর গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করে বলা হয়েছিল, তারা আশা করে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ এবং ‘মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযুক্ত হবে। এই মন্তব্যের জেরে ভারতের জার্মান দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জর্জ এনজ়ওয়েলারকে তলব করেছিল বিদেশ মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy