বসতি এলাকা জলমগ্ন। ডুবেছে গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা ঢুকে গিয়েছে গোটা দেশে। কোথাও ভারী বৃষ্টি, কোথাও আবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই বর্ষার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত জনজীবন। কোথাও জলের তোড়ে সেতু ভেঙে পড়েছে। কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। কোথাও রাস্তা ধসে গিয়েছে। কোথাও আবার ধস নামছে। আবার কোথাও গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। বিহার, হিমাচল প্রদেশ থেকে গুজরাত পর্যন্ত একই ছবি ধরা পড়েছে।
গুজরাতের জুনাগড়ে ১ জুলাই থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে মাংরোল এবং কশোদের ১০৭টি গ্রাম জলমগ্ন। বৃষ্টি কমে গেলেও জমে থাকা জলে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যেই আবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করায় নতুন করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুরাতের বালেশ্বর গ্রামের অবস্থা শোচনীয়। গত তিন-চার দিন ধরে এই গ্রাম জলের নীচে।
রাজস্থানেরও বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির কারণে নাজেহাল অবস্থা। জয়পুরে পরিস্থিতি ভয়াবহ। শহরের নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সেখান থেকে বাসেন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। শহরের রাস্তায় ৩-৪ ফুট জল জমে গিয়েছে। আগামী কয়েক দিন রাজস্থানের বিক্ষিপ্ত জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিহারের পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল নয়। বৃষ্টির কারণে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে পড়েছে। মহারাজগঞ্জ, সিওয়ান, আরারিয়ায় পর পর কয়েক দিনে সেতু ভেঙেছে। কৈমুর জেলায় ভারী বৃষ্টির কারণে হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নীচু এলাকাগুলিতে গঙ্গার জল ঢুকতে শুরু করেছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশেও ভারী বৃষ্টির কারণে চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ের অনেক জায়গায় ধস নেমেছে। ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ধসপ্রবণ এলাকাগুলি এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy