এখানেই পুলিশ পুড়িয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। ছবি: পিটিআই।
ক’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ দাবি করেছিল, হাথরসের ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি। তবে সেই দাবি খারিজ করে দিচ্ছে আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্ট। একটি নিউজ পোর্টাল তাদের সংবাদে এমনটাই দাবি করেছে। ওই হাসপাতালেই তরুণী প্রথম ভর্তি হন। হাসপাতালের মেডিকো-লিগাল এগজামিনেশন রিপোর্ট (এমএলসি) উল্লেখ করে খবরে বলা হয়েছে, তরুণীকে যে ধর্ষণ করা হয়েছিল, শারীরিক পরীক্ষায় তার প্রমাণ মিলেছিল।
নিউজ পোর্টালের খবরের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রোটোকল অনুযায়ী, ধর্ষণ হয়েছে কি হয়নি, শারীরিক পরীক্ষার পরেও তা নিয়ে হাসপাতাল মতামত জানাতে পারে না। সে জন্যই উত্তরপ্রদেশ সরকারের অধীনে থাকা আগরার ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তবে পোর্টালের দাবি, হাসপাতালের ৫৪ পৃষ্ঠার রিপোর্টে মেয়েটির দেহে লিঙ্গের প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে জানানো হয়, ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছিল, হাত-পায়ে অবশ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার কথাও ছিল। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর আলিগড়ের ওই হাসপাতালে মেয়েটি ভর্তি হলেও ২২ সেপ্টেম্বরে ডাক্তারদের কাছে ধর্ষণের কথা জানান তরুণী। সে দিনই আগরার ফরেন্সিক ল্যাবে বিষয়টি হস্তান্তর করে আলিগড়ের হাসপাতাল। ২৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক ল্যাব। ঘটনার পরে তখন ১১ দিন কেটে গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বৃহস্পতিবার জানান, ফরেন্সিক ল্যাবের পরীক্ষায় মেয়েটির শরীরে বীর্যের অস্বিত্ব মেলেনি। ফলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি— এমনটাই বোঝাতে চান পুলিশ কর্তারা।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ে ভরসা কী, বলছেন ভাই
আরও পড়ুন: হাথরসে সভা ঠাকুরদের, পাশে বিজেপি
তবে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ডাক্তার নিউজ পোর্টালের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে ফরেন্সিক রিপোর্টে বীর্যের অস্বিত্ব মেলার সম্ভবনাই নেই। কারণ, শুক্রাণু বেঁচে থাকে ২-৩ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy