মণিপুরের রাস্তায় শিলার স্তর জমে গিয়েছে। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরে শিলাঝড়ের তাণ্ডব। প্রবল ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিঘার পর বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু ফসল। ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।
রবিবার দুপুর থেকে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়েছিল মণিপুরে। রাত পর্যন্ত তা চলেছে। কখনও বৃষ্টির দাপট ছিল বেশি, কখনও কম। সেই সঙ্গে চলছিল ঝোড়ো হাওয়া। ইম্ফল উপত্যকায় দুপুর দেড়টা নাগাদ ঝড় শুরু হয় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। ঝড়ের এই প্রাবল্যের জন্য কেউ আগে থেকে তৈরি ছিলেন না। ফলে চাষের জমিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে বিঘা বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আম, কাঁঠালের মতো মরসুমি ফলের বাজারেও কোপ পড়েছে। অনেক ফল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাঞ্চিপুর এবং তেরা এলাকায়। বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিনের চালের বাড়িগুলির চাল ফুটো করে ভিতরে ঢুকেছে বড় বড় বরফের টুকরো। কুঁড়েঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ঝড়। যাঁরা রাস্তা দিয়ে সাইকেল, বাইক বা স্কুটারে যাচ্ছিলেন, তাঁদের অনেকেরই মাথায় আঘাত লেগেছে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছে বরফ। অনেক পাকা বাড়ির কাচের জানলাও ফুটো হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তার উপর। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও। শিলাঝড়ের পরে মণিপুরের রাস্তায় চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি পুরু শিলাস্তর পড়ে গিয়েছে।
দুর্যোগের পর মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি সারিয়ে দেবে সরকার। ঝড়ে যাঁদের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ছবি পাঠাতে বলা হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy