আমদাবাদ গ্রামীণ পুলিশের অভিযোগ, অশোক পটেন এবং তাঁর সঙ্গীরা মিলে বহু কমবয়সি মেয়েকে অপহরণ করে বিক্রি করেছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭ জন মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতীকী ছবি।
বয়স মোটে ১৩। যে বয়সে বেশির ভাগ মেয়ে স্কুলের পড়াশোনা নিয়ে মেতে থাকে, সে বয়সে একাধিক বার ধর্ষণের শিকার। যৌন অত্যাচারের পর গত ৮ বছরে তাকে কমপক্ষে ১৫ জনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’জনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য করেছেন অপহরণকারীরা। সোমবার সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছে গুজরাত পুলিশ।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অপহৃত এক কিশোরীর খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমে আন্তঃরাজ্য শিশু পাচার চক্রের হদিস মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই চক্রের হাতেই পড়েছিল ১৩ বছরের মেয়েটি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ মে স্থানীয় এক কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছিল আমদাবাদ পুলিশ (গ্রামীণ)। তদন্তকারীদের দাবি, ১৩ মে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা গেলেও প্রকাশ্যে আসে শিশু পাচার চক্রের মূল চক্রী অশোক পটেল নামে গুজরাতের এক বাসিন্দা এবং তাঁর সঙ্গীদের নাম। ওই চক্রে রয়েছেন অশোকের স্ত্রী রেণুকা, দম্পতির ১৬ বছরের ছেলে-সহ রূপাল মেকওয়ান নামে এক তরুণী। গুজরাত ছাড়া রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রেও জাল বিছিয়েছে এই চক্রটি। অশোক, তাঁর পরিবারের সদস্য ছাড়াও মোতি সেনমা, অমরতজি ঠাকুর এবং চেহর সিংহ সোলাঙ্কি নামে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে আমদাবাদ গ্রামীণ পুলিশের অভিযোগ, অশোক এবং তাঁর সঙ্গীরা মিলে বহু কমবয়সি মেয়েকে অপহরণ করে বিক্রি করেছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭ জন মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘শিশু পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিল ১৩ বছরের এক কিশোরীও। শিশু বয়সে তাকে অপহরণ করেছিলেন এই চক্রের পান্ডা অশোক। এর পর তাকে বার বার ধর্ষণ করেন। ২০১৫ সাল থেকে তাকে ১৫ জনের কাছে বিক্রি করে দেন। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। ওই বিক্রেতাদের মধ্যে অন্তত দু’জনের সঙ্গে জোর করে মেয়েটির বিয়ে দেন অশোক এবং তাঁর সঙ্গীরা। ওই মেয়েটির মাধ্যমেই অন্যদেরও অপহরণ করেছেন।’’
গুজরাত ছাড়াও রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের পাচার চক্রের সঙ্গে অশোক জড়িত বলে পুলিশের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy