চন্দ্রবাবু নায়ডু। — ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। চন্দ্রবাবু নায়ডু ক্ষমতায় ফেরার পরেই ‘অপছন্দে’র চারটি তেলুগু টিভি চ্যানেল উধাও হয়ে গেল অন্ধ্রের বড় অংশের কেব্ল টিভির দর্শকদের কাছে। শুক্রবার রাত থেকে এই চ্যানেলগুলি দেখা যাচ্ছে না রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায়। অভিযোগ, কেব্ল অপারেটরেরা ‘সরকার পক্ষের চাপে’ চ্যানেলগুলির প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে ৪ জুন বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দু’দিন পরে, ৬ জুন চারটি চ্যানেল একদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায়।
যে চারটি চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে সাক্ষী টিভি নামের চ্যানেলটি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির পরিবারের ইন্দিরা টেলিভিশন লিমিটেডের মালিকানাধীন। গত কালই জগন্মোহনের দলের একটি দফতর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সরকারে থাকার সময় ওই দফতরটি বেআইনি ভাবে তৈরি করেছিল জগন্মোহনের দল। এ বারে চ্যানেল বন্ধের পরে চন্দ্রবাবুর জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলল তারা। বিষয়টি নিয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-কে চিঠি দিয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বিষয়টি বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও সরব হয়েছে তারা। প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককেও। যদিও চন্দ্রবাবুর সরকারের তরফে এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে জানানো হয়েছে, এ রকম কোনও নির্দেশ সরকার দেয়নি।
নাম না করার শর্তে একটি টিভি চ্যানেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে কেব্ল অপারেটরেরা জানিয়ে দেন, এই চারটি চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে কার নির্দেশে এটা করা হচ্ছে, তা তাঁরা বলতে চাননি। বিরোধী ওয়াইএসআর এবং কংগ্রেস-সহ অন্য দলগুলি একে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছে। যদিও রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশ সরাসরি সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ সবের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমাদের রয়েছে।’’ যদিও স্থানীয় স্তরের টিডিপি নেতারা মানছেন, জয়ের পরেও চন্দ্রবাবুর বিরোধিতা করেছিল ওই চ্যানেলগুলি, সে কারণেই ‘জনগণ চাননি ওগুলি দেখানো হোক’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy