গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
ফের বেকায়দায় টুইটার। এ বার মাইক্রোব্লগিং সাইটটিতে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কনটেন্ট থাকার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ নিয়ে দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখার দ্বারস্থ হয়েছিল জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন (এনসিপিসিআর)। কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে টুইটারের বিরুদ্ধে দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পকসো)-সহ নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশের ওই শাখা। ফলে এখনও পর্যন্ত টুইটারের বিরুদ্ধে চতুর্থ এফআইআর দায়ের করা হল।
এনসিপিসিআর-এর অভিযোগ, টুইটারে ক্রমাগত শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে। এ নিয়ে আগেই সাইবার শাখা এবং দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়েছিল এনসিপিসিআর। গোটা বিষয়ের তদন্ত রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে কমিশনে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। তবে সে রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অন্বেষ রায়কে কমিশনে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে বলে এনসিপিসিআর।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের চরম মতভেদ হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, নেটমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত সমস্ত কনটেন্টের উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য ফেসবুক, টুইটারের মতো সংস্থাগুলি। এমনকি, আপত্তিকর পোস্টের উপর নজরদারি করা বা তা সরিয়ে দিতেও দায়বদ্ধ থাকবে তারা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশকে কার্যত বাক্-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মনে করেন টুইটার-কর্তারা। যদিও টুইটারকে দেশের আইনমাফিক চলারই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে গঠিত সংসদীয় কমিটি। তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারানোর পর থেকে একের পর এক বিপত্তিতে পড়েছে টুইটার। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে হেনস্থা-সহ জোর করে ‘বন্দে মাতরম্’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করার যে অভিযোগে চলতি মাসে টুইটারের বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদে এফআইআর করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে সে মামলাটি গিয়েছে। যদিও ওই মামলায় এ দেশে টুইটারের প্রধান মণীশ মহেশ্বরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কর্নাটক হাই কোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারতের বাইরে দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে টুইটারের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগেও মহেশ্বরীর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশে একটি এফআইআর করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy