এই চিঠিই উদ্ধার হয়েছে ওই কৃষকের কাছ থেকে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দিল্লি সীমানায় ফের এক কৃষকের মৃত্যু। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার টিকরি এলাকায় একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই অনুমান পুলিশের। তাঁর কাছ একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে যাতে আক্ষেপের সুরে লেখা রয়েছে, ‘শুধু তারিখ দিয়ে যাচ্ছে সরকার। সমস্যা সুরাহার কোনও লক্ষণ নেই’।
রবিবার সাতসকালে, টিকরি সীমানায় আন্দোলনস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে ৫২ বছর বয়সি কর্মবীর সিংহ কউল নামের ওই কৃষকের ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার হয়। নাইলনের দড়ির ফাঁসে ঝুলছিল তাঁর দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় জেলা হাসপাতালে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর পরিবারের লোকজন না এসে পৌঁছনো পর্যন্ত ময়নাতদন্ত হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কর্মবীর আদতে হরিয়ানার জিন্দের বাসিন্দা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তিন মেয়ে রয়েছে তাঁর। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে প্রায় ৭০ দিন ধরে আন্দোলন করার পরেও সুরাহা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন জিন্দাবাদ। সরকার শুধু একটার পর একটা তারিখ দিয়ে যাচ্ছে। এই কালো আইন কবে রদ হবে, কিছু আন্দাজই করা যাচ্ছে না’।
जींद के एक किसान ने आज टिकरी बॉर्डर पर आत्महत्या कर ली और ये चिट्ठी छोड़ गए।
— UP Congress (@INCUttarPradesh) February 7, 2021
चिठ्ठी में लिखा है, "मोदी सरकार तारीख पर तारीख देती जा रही है। पता नहीं कब ये काले कानून वापिस होंगे।"
लानत है ऐसी सरकार पर जो किसानों की जान ले रही है। लानत है उस मीडिया पर जो सच पर पर्दा डाल रही है। pic.twitter.com/Z3EASxYToC
কর্মবীরের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস। উদ্ধার হওয়া চিরকুটটির ছবি পোস্ট করে তাদের টুইট, ‘জিন্দের এক কৃষক আজ টিকরি সীমানায় আত্মহত্যা করেছেন এবং এই চিঠি লিখে গিয়েছেন। চিঠিতে লিখেছেন, সরকার শুধু তারিখ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কালো আইন কবে প্রত্যাহার হবে, তা জানা নেই। কৃষকদের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই সরকারকে ধিক্কার। যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম সত্যকে আড়াল করছে, ধিক্কার তাদেরও’।
বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতায় ৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হলেও আইন প্রত্যাহারে একেবারেই রাজি নয় সরকার। আবার সরকারের প্রস্তাব মেনে আইন সাময়িক স্থগিত রাখা বা কিছু সংশোধন ঘটানোতে রাজি নন আন্দোলনকারীরাও। সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহার করার পক্ষেই তাঁরা। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যেই এই ঘটনা।
কৃষক আন্দোলনে নাম লিখিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন এবং সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে। এঁদের অনেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি তাদের। শুধুমাত্র টিকরি সীমানা থেকেই ৩ জনের আত্মঘাতী হওয়ার খবর মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy