গণনার আগেই বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র (ইভিএম) উধাও হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল রাজস্থানের জোধপুরে। ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট জেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইভিএম উধাওয়ের ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
গত ২৫ নভেম্বর রাজস্থানে ভোটগ্রহণ ছিল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তার পরের দিন একটি ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট খোয়া যায়। তবে ওই ইভিএমটি ভোটে ব্যবহার করা হয়নি। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক পঙ্কজ জাখরের গাড়িতে রাখা ছিল। সেখান থেকেই ইভিএমটি খোয়া যায়। ঘটনার জেরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ (চুরি) ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। নির্বাচনী বিধি মেনে কমিশন সাসপেন্ড করেছে পঙ্কজকে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে কংগ্রেস-বিজেপির কড়া টক্করের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায়। সেখানে এ বার ২০০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ভোট হয়েছিল ১৯৯টিতে (কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে ভোট স্থগিত হয়)। একাধিক বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ২০১৮-এর মতোই এ বার সেখানে ‘নির্ণায়ক’ হতে পারেন নির্দল এবং ছোট দলগুলির বিধায়কেরা।
আরও পড়ুন:
আশির দশক থেকে ধারাবাহিক ভাবে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের প্রথা মেনে চলা রাজস্থানে সত্যিই যদি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরাতে পারেন, তা হলে লোকসভা ভোটের আগে তা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, মিজ়োরামের সঙ্গেই ভোটগণনা হবে রাজস্থানে।