রাজনাথ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
শোকপ্রকাশেও মোদী সরকার ‘একচ্ছত্র মালিকানা’ রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদরা।
সিডিএস বিপিন রাওয়ত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১৩ জনের মৃত্যুর পর সংসদ চত্বরে সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদের ধর্না এক দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সকালেই। ধর্নাস্থলে এক মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করে আজকের মতো ধর্না গুটিয়ে নেওয়া হয়। এরপর রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের তরফে শোকপ্রস্তাবের পর বিবৃতি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে এর পর বলেন, এক মিনিট করে প্রত্যেকটি বিরোধী দলকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক। আলাদা করে একই দাবি তোলে তৃণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের তরফে সেই প্রস্তাব মানা হয়নি। ফলে বিরোধীরা কক্ষত্যাগ করেন।
পরে এসপি, আরজেডি, শিবসেনা, ডিএমকে, বাম সাংসদদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খড়্গে। আলাদা করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব। খড়্গে বলেন, “বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি ছিল না। দেশের এত বড় দুঃখের সময়ে আমাদের শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগটা পর্যন্ত দেওয়া হল না। কী ধরনের গণতন্ত্র চলছে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে! ঘটনার ঘোর নিন্দা করছি।” সুস্মিতা দেবের কথায়, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে শোকপ্রকাশের ক্ষেত্রেও একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে এই শাসক গোষ্ঠী।”
আগামিকাল থেকে আবার সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্নায় বসবেন বিরোধীরা। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, বিপিন রাওয়তের মৃত্যুর কারণে ধর্না বন্ধ রাখার বিষয়ে কাল রাতে ডিএমকে, বাম এবং শিবসেনার সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। আজ সকালে মল্লিকার্জুন খড়্গের বৈঠকে (যেখানে তৃণমূল যায় না) এই প্রস্তাব নিয়ে পরবর্তী আলোচনা হয়। সেই অনুযায়ী আজকের কর্মসূচি তৈরি হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ গোটা পঞ্চাশেক লাল টুপি নিয়ে এসেছিলেন এসপি সাংসদ জয়া বচ্চন। এসপি সূত্রের খবর, মোদীর ব্যঙ্গের প্রতিবাদে বিরোধী দলের সাংসদদের সেই টুপি দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy