প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে তাঁর রাজ্যের নেতা আঙুল তুললেও, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঐকমত্য বজায় রেখেই এগোতে চাইছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, সামনেই মধ্যপ্রদেশে ২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এর মধ্যে মালবা অঞ্চলের পাঁচটি আসনের দায়িত্ব কৈলাসকে দেওয়া হয়েছে। এই জয়ের উপরেই মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা টিকিয়ে রাখার বিষয়টি নির্ভর করছে।
শিবরাজ দিল্লিতে আজ মোদী, অমিত শাহ, জে পি নড্ডা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, উপনির্বাচনের আগে দ্রুত মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ সেরে ফেলতে চাইছেন তিনি। সেখানে সিন্ধিয়ার সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতাদেরও জায়গা দিতে হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতে শিবরাজকে যে ভাবে দিল্লিতে ছুটে আসতে হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতেই মধ্যপ্রদেশের রাশ। এক সময় শিবরাজ ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার জোরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এখন ভাবছেন, হেরে গিয়ে ফের ক্ষমতায় ফেরা শিবরাজের সমান্তরালে কৈলাসের মতো নেতা থাকলে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
কৈলাসের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক ভাঁওয়ার সিংহ শেখাওয়াত অভিযোগ তুলেছিলেন, তিনি বিক্ষুব্ধ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে গত বিধানসভা ভোটে দলকে হারান। এখন আবার নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান বলে শিবরাজ সরকারে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে কৈলাসের পাশে, তার ইঙ্গিত দিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণুদত্ত শর্মা জানিয়েছেন, ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy