Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রবিবার শপথ নেবেন কেজরী

দিল্লিতে ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন কেজরীবাল।

অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র।

অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৫
Share: Save:

আগামী রবিবার তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির রামলীলা ময়দানে ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কেজরীবালের সঙ্গেই শপথ নেবে তাঁর সাত সদস্যের মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, গতবারের মন্ত্রিসভার সদস্যরাই এ বারও শপথ নিতে চলেছেন।

দিল্লিতে ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন কেজরীবাল। এ নিয়ে গত এক বছরে ছ’টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে হারলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। অতীতে কর্নাটক হোক বা ঝাড়খণ্ড, যখনই বিজেপি নির্বাচনে হেরেছে তখনই শপথ গ্রহণ হয়ে উঠেছে বিরোধীদের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আগামী রবিবার কেজরীবালের শপথ গ্রহণ মঞ্চেও কি বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সেই পুরনো জমায়েতের পুনরাবৃত্তি হবে?

আপ সূত্র বলছে, দল এই মুহূর্তে এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। আপের একটি অংশ বিরোধী নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণের পক্ষে। কিন্তু অন্য অংশের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির সঙ্গে বিরোধিতার প্রশ্নে অন্য বিরোধী দলগুলির থেকে কিছুটা ভিন্ন অবস্থান নিয়ে এগিয়েছে আপ। বিশেষ করে শাহিন বাগ প্রশ্নে কংগ্রেস-বাম নেতৃত্ব যখন বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তখন শুরু থেকেই দূরত্ব নেওয়ার কৌশল নেন কেজরীবাল। তা ছাড়া দিল্লিতে কংগ্রেস-বিরোধিতাকে কেন্দ্র করেই আপের উত্থান। সেই কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে দলে। আবার আমন্ত্রণের পক্ষে থাকা শিবিরের বক্তব্য, শপথ গ্রহণে সব প্রধান দলকে আমন্ত্রণ জানানো সৌজন্যের পরিচয়। আপের এক নেতা বলেন, ‘‘তৃণমূল, ডিএমকে, জেএমএমের মতো দলকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রশ্নে নীতিগত কোনও সমস্যা নেই। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেজরীবালই।’’

আরও পড়ুন: আম আদমির নায়ক কেজরীতে মজে দিল্লির জনতা

আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জের মুখে অমিত শাহের ‘চাণক্য’ তকমা

আপ সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার সকাল দশটায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে রামলীলা ময়দানে। আজ এ নিয়ে আলোচনা করতে সকালে উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে যান কেজরীবাল। মিনিট পনেরো কথা হয় দু’জনের মধ্যে। বৈঠক শেষে কেজরীবালের বাড়িতে বসে জয়ী বিধায়কদের বৈঠক। সেখানে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয় কেজরীবালকেই। যদিও মন্ত্রিসভার সদস্য কারা হবেন, তা নিয়ে মুখ খুলছেন না কোনও নেতাই। দলের একটি অংশের মতে, পুরনো যারা মন্ত্রী ছিলেন তাঁরাই মন্ত্রী হতে চলেছেন। কিন্তু সমস্যা হল, রাঘব চাড্ডা ও অতিশি মারলেনার মতো হেভিওয়েট প্রার্থীকে নিয়ে। ওই দু’জনকে জায়গা দিতে হলে সরতে হবে দু’জনকে। অতিশি মহিলা হওয়াতে তাঁর কপালে শিকে ছিড়তে পারে বলেই মনে করছে দল। কারণ গতবারের সাত সদস্যের মন্ত্রিসভাতে একজনও মহিলা সদস্য ছিলেন না। দিল্লির সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার ভোল পাল্টে দেওয়ার পিছনে অন্যতম অবদান অতিশিরই। তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হলে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব ছাড়তে হবে সিসৌদিয়াকে। সিসৌদিয়া তাতে কতটা স্বেচ্ছায় রাজি হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলের অন্দরমহলেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy