ফেনায় ভরে গিয়েছে যমুনা। ফাইল চিত্র।
অক্টোবর পড়তেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নামতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে রাজধানী ছিল ধোঁয়াশায় মোড়া। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ২৯৩। যা ‘খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যেই পড়ে। দিওয়ালির আগেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নামতে শুরু করায় উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের।
দিল্লির আনন্দ বিহারে শুক্রবার সকাল ৮টায় বাতাসের গুণগত মান ছিল ৩৩৯। যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ইন্ডিয়া গেটে ওই একই সময়ে একিউআই ছিল ২৭০। দ্বারকার সেক্টর ৮-এ আবার একিউআই ছিল ৩২৫। মঙ্গলবার বাতাসের গুণগত মানের কিছুটা উন্নতি হলেও বুধবার থেকে আবার পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ের দিকে যেতে শুরু করে। সামনেই দিওয়ালি, তার আগেই রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি ভয় ধরাতে শুরু করেছে।
যদিও দিল্লি সরকার দূষণ রোধের জন্য আগেভাগেই সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। সপ্তাহের গোড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী অতিশী এবং পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দূষণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। দূষণ ঠেকাতে ৯৯টি দল গঠন করা হয়েছে। পূর্ত দফতর ২০০টি ‘অ্যান্টি স্মগ গান’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি পুরনিগম, এনসিআরটিসি এবং দিল্লি মেট্রো সংস্থাও দূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। এত কিছু করেও কি দূষণ ঠেকানো সম্ভব হবে? বিশেষ করে দিওয়ালি এবং তার পরবর্তী দিন, এমনকি শীতেও যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় রাজধানীতে, তা কি রোখা সম্ভব হবে? এ সব নিয়েই এখন উদ্বেগ বাড়ছে রাজধানীতে। তার মধ্যে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোর বিষয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ না করা হয়, তা হলে এই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
শস্যের গোড়া পোড়ানোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, গত বুধবারই হরিয়ানা এবং পঞ্জাব সরকারের কাছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশের পরেও কেন পদক্ষেপে গড়িমসি, তা নিয়েও ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় দুই রাজ্যের সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy