Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Sepsivac

চণ্ডীগড়ে করোনা রোগীদের উপর ‘সেপসিভ্যাক’ প্রয়োগ শুরু

আজ সেপসিভ্যাকের প্রয়োগ শুরু হল এমন দিনে, যে দিন দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার পেরোল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৮
Share: Save:

করোনা-রোগীদের উপরে আজ থেকে ‘সেপসিভ্যাক’ ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করল চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওষুধ হিসেবে প্রয়োগের পাশাপাশি করোনা-আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গহীন রোগীদেরও প্রতিষেধক হিসেবে সেপসিভ্যাক দেওয়া হয়েছে, যাতে উপসর্গ দেখা না-দেয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ৪ মে থেকে কী ভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। করোনা-মুক্ত জেলাগুলিতে ওই দিন থেকে আরও বেশি ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্র।

আজ সেপসিভ্যাকের প্রয়োগ শুরু হল এমন দিনে, যে দিন দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার পেরোল। আজ রাত অবধি সংখ্যাটা ১০০৮। বিকেল পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৮৯৭ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমিতদের মৃত্যু-হার কমাতে গত সপ্তাহেই সেপসিভ্যাক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ‘গ্রাম নেগেটিভ সেপসিস’ ও কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে অনেকটা একই ধাঁচের উপসর্গ লক্ষ করা গিয়েছে। দু'টি ক্ষেত্রেই কোষের অভ্যন্তরে থাকা ‘সাইটোকাইন’ প্রোটিন অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। তার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বিগড়ে যায়। উপসর্গের মিলের কথা মাথায় রেখেই করোনা-রোগীদের ক্ষেত্রে সেপসিভ্যাক ব্যবহার করা হয়েছে। পিজিআইএমইআর-এর তরফে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রাম বিশ্বকর্মা জানান, উপসর্গহীন করোনা-রোগীদের শরীরে যাতে উপসর্গ না-দেখা যায়, সে জন্য প্রতিষেধক হিসেবে তাঁদেরও সেপসিভ্যাক দেওয়া হয়েছে। মাস তিনেকের মধ্যে তার ফল জানা যাবে।

আগামী ৪ মে থেকে দেশের গ্রিন জ়োনগুলিতে লকডাউন অনেকাংশে শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। আজ গোটা দেশের লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, লকডাউনের ফলে করোনা-সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য মিলেছে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত পুরনো নিয়মেই সব কিছু চলবে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে সে দিনই। এর পর ৪ মে থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। (গ্রিন জ়োনের) অনেক জেলাতেই লকডাউনের নিয়ম শিথিল করা হবে।

আরও পড়ুন: ঘরে ফেরায় কেন্দ্রের সায়, দায় রাজ্যের

আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, মোট রোগীর ০.৩৩ শতাংশকে ভেন্টিলেটরে পাঠাতে হয়েছে। অক্সিজেন দিতে হয়েছে ১.৫ শতাংশকে। আইসিইউয়ে গিয়েছেন ২.৩৪ শতাংশ। তবে সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে রোগীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছুঁতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলি খুলে গিয়েছে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রত্যেক কর্মীকে মোবাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সর্বক্ষণ সেই অ্যাপ্লিকশনটি চালু রাখতে বলা হয়েছে। অ্যাপে 'নিরাপদ' বার্তা দেখালে তবেই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বাড়ি থেকে বেরোতে বলা হয়েছে। আর তিনি কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি চলে আসার কারণে অ্যাপটি যদি বিপদ সঙ্কেত দেখায়, সে ক্ষেত্রে ওই কর্মীকে অফিসে আসা বন্ধ করে ১৪ দিন আইসোলেশনের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: ৩ মে-র পর বহু জেলায় লকডাউন শিথিল, জানাল কেন্দ্র

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Sepsivac Coronavirus in India PGIMER Chandigarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy