Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Covaxin

তাড়াহুড়ো নয় কোভ্যাক্সিনে

আইসিএমআরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরির জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ভারত বায়োটেক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা   
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ ০৪:০১
Share: Save:

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সমীক্ষায় আজ ৭০ লক্ষ পেরোল। একই সঙ্গে ওই আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী সুস্থের সংখ্যাও ৬০ লক্ষ পেরোল ভারতে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক বার নতুন কোভিড রোগীর চেয়ে সুস্থের সংখ্যা বেশি। তবে দেশজ টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ যথাযথ ভাবে মেনেই এগোনোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন সরকারি কর্তৃপক্ষ। করোনার সম্ভাব্য টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর অনুমতি চেয়ে গত ২ অক্টোবর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। তার প্রেক্ষিতে ডিসিজিআই জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ তথ্য আগে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ যাঁরা ওই দফায় টিকা নিয়েছেন, তাঁদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, টিকাটি নিরাপদ বলে দেখা গিয়েছে কি না— ইত্যাদির পাশাপাশি তৃতীয় দফার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু বিষয়ও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে ভারত বায়োটেককে।

আইসিএমআরের সঙ্গে যৌথ ভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরির জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ভারত বায়োটেক। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ এখনও শেষ হয়নি। যদিও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তৃতীয় দফার ট্রায়ালের প্রোটোকল এবং প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী তথ্য পেশ করেছিল ভারত বায়োটেক। তৃতীয় দফায় ‘ডাবল ব্লাইন্ড কন্ট্রোল’ পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছিল তারা। এ ক্ষেত্রে রোগীদের দু’দলে ভাগ করে এক দলকে টিকা এবং অন্য দলকে ওষুধের বদলে জল বা স্যালাইন জাতীয় কিছু দিয়ে প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশ।

তৃতীয় দফার পরীক্ষার আগে এই তথ্য-তলবের নেপথ্যে মাস তিনেক আগেকার ‘চিঠি বিতর্কের’ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। ২ জুলাই আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব হাসপাতালগুলির উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, ‘‘সমস্ত ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করে ১৫ অগস্টের মধ্যে জনস্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে ভ্যাকসিন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরুর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে যাতে বিষয়টিকে তালিকাভুক্ত করা যায়, তা নিশ্চিত করা হোক।’’ এই চিঠি সামনে আসায় হইচই শুরু হয়। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া ওই সময়সীমাকে ‘চ্যালেঞ্জিং এবং কষ্টসাধ্য কাজ’ বলেছিলেন। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে লালকেল্লা থেকে টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করতে পারেন, সেই জন্যই এ ভাবে তাড়া দেওয়া হচ্ছে।

গত কালের পরে আজও দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ন’লক্ষের নীচে (৮,৮৩,১৮৫)। অর্থাৎ মোট করোনা-আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১২.৬৫ শতাংশ বর্তমানে সংক্রমিত রয়েছেন। সুস্থতার হারও বেড়ে হয়েছে ৮৫.৮১%।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy