অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জমানায় আবগারি দুর্নীতি নিয়ে সিএজি-র রিপোর্ট পেশ করে বিজেপি আম আদমি পার্টিকে যখন আরও কোণঠাসা করছে, তখন এই দুর্নীতিতে বিজেপির ভূমিকা নিয়েও তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের দাবি, আবগারি দুর্নীতির তদন্তের সীমারেখা বাড়িয়ে এর মধ্যে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হোক। কারণ, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মুখ্যমন্ত্রিত্বে দিল্লিতে যে আবগারি নীতি তৈরি হয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের নিযুক্ত উপরাজ্যপাল সায় দেন। যেখানে মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না, সেখানেও বিজেপির পরিচালিত দিল্লির পুরসভাগুলো মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছিল।
মঙ্গলবারই দিল্লির বিজেপি সরকার আম আদমি পার্টির জমানায় আবগারি নীতি নিয়ে বিধানসভায় সিএজি রিপোর্ট পেশ করেছিল। তাতে দেখা যায়, কেজরীর আবগারি নীতির ফলে দিল্লির সরকারের ২০০২ কোটি টাকা লোকসান হয়। আজ দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব ও কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন তুলেছেন, কেজরী-জমানার কাজকর্ম নিয়ে সিএজি-র বাকি ১৩টি রিপোর্ট কেন বিধানসভায় পেশ হচ্ছে না?
কংগ্রেসই প্রথম দিল্লির আবগারি দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিল। আজ কংগ্রেস নেতাদের দাবি, সেই অভিযোগে বিজেপির দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণও ছিল। দিল্লির উপরাজ্যপাল আবগারি নীতিতে ছাড়পত্র দেন। নিয়ম ভেঙে বিজেপি চালিত পুরসভা মদের দোকান খোলার ছাড়পত্র দিয়েছিল। এই সিএজি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য অবিলম্বে দিল্লি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি গঠনের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। সাধারণত পিএসি-র প্রধান হন বিরোধী দলনেতা বা নেত্রী। এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আপ নেত্রী অতিশী দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেত্রী। এ দিকে আপ-এর জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট। তাই তা নিয়ে কংগ্রেস গণ আলোচনার দাবিও তুলেছে কংগ্রেস।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)