সুনীল কানুগোলু। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থানে নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ভোটকুশলী সুনীল কানুগোলু নিজস্ব সমীক্ষা চালিয়ে বলেছিলেন, সিংহভাগ মন্ত্রী-বিধায়কের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাঁদের সরিয়ে অন্যদের প্রার্থী করতে হবে। অশোক গহলৌত তা মানতে চাননি।
মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস চার বার সমীক্ষা চালিয়েছিল। চারটি সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছিল, কংগ্রেস জিতছে। কিন্তু সুনীল কানুগোলুর সমীক্ষা অন্য কথা বলেছিল। কমল নাথ মানতেই চাননি।
একমাত্র তেলঙ্গানায় সুনীল কানুগোলুকে ভোটকুশলী হিসেবে নিয়োগ করে পুরো ক্ষমতা দিয়েছিল কংগ্রেস। একদা প্রশান্ত কিশোর ওরফে ‘পিকে’-র সহকর্মী সুনীল ভোটকুশলী হিসেবে আবার বাজিমাত করলেন। তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের পরে এই প্রথম সেখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় এল। কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পিছনেও সুনীল কানুগোলু প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। কর্নাটকে তিনি কংগ্রেসের প্রচারের রণকৌশল তৈরি করেছিলেন। ভোটের সাফল্যের পরে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁকে নিজের উপদেষ্টা নিয়োগ করে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়েছেন। অথচ রাজস্থানের অশোক গহলৌত, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ, ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল সুনীলের উপদেশ মেনে কাজ করতে চাননি। তাঁরা নিজেদের পরিকল্পনা মেনে প্রচার করেছিলেন। এঁদের মধ্যে দুই নেতা আবার অন্য একটি ভোটকুশলী সংস্থার উপরে ভরসা করেছিলেন। কংগ্রেস হাইকমান্ড আগামী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির ভার ভোটকুশলী সুনীল কানুগোলুর হাতে তুলে দিতে চাইছে। সুনীল ২০১৪-য় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে কাজ করেছেন। কিশোর বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার পরে সুনীলই ছিলেন বিজেপির ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস’-এর প্রধান। ২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পিকে যখন কংগ্রেসের দায়িত্বে, তখন সুনীল বিজেপির ভোটের রণকৌশল তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠন হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র জয়ের পিছনেও ছিল সুনীলের মস্তিষ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy