কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস এবং তার শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে তৎপরতার অভিযোগ উঠল আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে। দলের নেতা অজয় মাকেন শুক্রবার অভিযোগ করেছেন, যুব কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত (ফ্রিজ়) করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রনাধীন আয়কর দফতর।
অজয় শুক্রবার বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিত ভাবে এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঘটনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর জঘন্য আঘাত।’’ তাঁর অভিযোগ, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। বিষয়টি এখন আয়কর ‘অ্যাপিল ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন। এর মধ্যেই বেআইনি ভাবে পদক্ষেপ করেছে আয়কর দফতর।
কংগ্রেসের সাংসদ এবং বিধায়কেরা তাঁদের ভাতার যে অংশ দলীয় তহবিলে দিতেন, ‘ফ্রিজ়’ করা অ্যাকাউন্টগুলিতে তা রাখা রয়েছে বলে দাবি অজয়ের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কোন সাংসদ ও বিধায়ক কত টাকা দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তা-ও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হল। দেশে এখন গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই। কার্যত একদলীয় স্বৈরাচার চলছে। প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা বিচার বিভাগ, সংবাদমাধ্যম এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইব।’’
কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের নেতা বিবেক তঙ্খার অভিযোগ, তাঁদের মোট চারটি অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সমস্ত রকম লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর। ফলে লোকসভা ভোটের আগে অনুদান গ্রহণ এবং খরচে সমস্যা দেকা দিয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণার পরে বিরোধীদের অনুদান বন্ধ করতে এই কৌশল নিয়েছে মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy