প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
কথা ছিল বছরে ২ কোটি চাকরির। এখন দেড় বছরে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়েই হিমশিম দশা নরেন্দ্র মোদী সরকারের। কারণ, ১০ লক্ষের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ চাকরির নিয়োগপত্র বিলি হয়েছে। এখনও ৪ লক্ষ বাকি। এদিকে লোকসভা ভোটের আর মাস ছয়েক দেরি।
আগামিকাল, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশ জুড়ে ‘রোজগার মেলা’ আয়োজন করে ৫১ হাজার সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র বিলি করবেন। বেকারত্ব ও বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে বাকি দেড় বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হবে। গত অক্টোবর মাস থেকে দফায় দফায় রোজগার মেলা করেছেন। প্রথম মাসে ৭৫ হাজার, তারপরে গড়ে ৭১ হাজার করে চাকরির নিয়োগপত্র বিলি হচ্ছিল। অগস্টে ৫১ হাজার বিলি হয়েছে। আগামিকালও ৫১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাবে, আগামিকালের পরে চাকরির নিয়োগপত্র বিলির সংখ্যা ৬ লক্ষে পৌঁছে যাবে। ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও ৪ লক্ষ বাকি থাকবে। সরকারি সূত্রের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে নিয়োগপত্র বিলির সংখ্যা বাড়বে। শেষ দফায় ১০ লক্ষ চাকরি বিলির পরে ধূমধাম করে প্রচারের ঢাক পেটানো হবে।
বিরোধীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ৬ লক্ষ চাকরির নিয়োগপত্র কোনও নতুন চাকরি নয়। রুটিন শূন্যপদ পূরণে যে সরকারি চাকরি হয়, প্রধানমন্ত্রী এখন তার নিয়োগপত্রই বিলি করছেন। রাজ্যে রাজ্যে মন্ত্রীরা গিয়ে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছেন। যে কাজ এতদিন ডাকপিয়ন করত, এখন সেটাই প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা করছেন। পদোন্নতির ফলে নতুন পদে যোগদানও নতুন চাকরির তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাস্তব ছবি হল, ২৫ বছরের কমবয়সি স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। সদ্য প্রকাশিত আজ়িম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টেট অব ওয়ার্কিং ইন্ডিয়া, ২০২৩’-এর রিপোর্ট সে কথাই বলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ইপিএফও-র তথ্য বলছে, জুলাই মাসে সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরির সংখ্যা জুনের তুলনায় কমেছে। যা থেকে স্পষ্ট, সংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন চাকরির সংখ্যা বাড়ছে না। জুন মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নতুন গ্রাহকের সংখ্যা ১০.৩ লক্ষ ছিল, জুলাইয়ে তা ১০.২ লক্ষে নেমে এসেছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের কটাক্ষ, ‘‘মোদী সরকার স্বাধীনতার পরে তরুণদের বেকারত্বের রেকর্ড করে ফেলেছে। গত তিন বছরে ৩১ লক্ষ মানুষের চাকরি গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে ২৬ লক্ষ মহিলা। দেশে ৩২.০৬ কোটি লোকের চাকরি, বেতন নেই। ২৫ বছরের কমবয়সি স্নাতকদের বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশের বেশি। ডেলিভারি বয়ের মতো গিগ-কর্মীদের চাকরিও ১৭.৫ শতাংশ কমেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy