Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Death Penalty

মাকে খুন করে দেহাংশ রান্না! ফাঁসির সাজা বহাল রেখে বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সংশোধনের আশা নেই

মামলাটিকে বিরল থেকে বিরলতম বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। খুনের পর মস্তিস্ক, হৃদপিণ্ড, যকৃত, বৃক্ক, অন্ত্র এবং অন্য দেহাংশগুলি বার করেছিল সুনীল। সেগুলি একে একে কড়াইতে ঢেলে রান্না করছিল।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪০
Share: Save:

মদ কেনার টাকা দিতে রাজি ছিলেন না মা। সেই রাগে মাকে খুন করেছিল ছেলে। তার পর মায়ের দেহ কেটে বার করেছিল এক একটি অঙ্গ। কিছু দেহাংশ রান্না করে খেয়েও ছিল মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা সুনীল কুচকোরাভি। এই ঘটনাকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ মন্তব্য করে আসামির ফাঁসির সাজাই বহাল রাখল বম্বে হাই কোর্ট। ঘটনাটি ২০১৭ সালের। মামলাটি প্রথমে চলছিল কোলাপুর আদালতে। নিম্ন আদালতও অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। মঙ্গলবার বম্বে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও একই সাজা বহাল রাখল। আসামির নরমাংস ভক্ষণের প্রবণতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট।

বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতীমোহিতে দেরে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চহ্বানের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই আসামির সংশোধনের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির সাজা বহাল রেখে হাই কোর্ট জানিয়েছে, এটি একটি বিরল থেকে বিরলতম মামলা। আসামির নরমাংস খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তা হলে সংশোধনাগারে অন্য বন্দিদেরও সে আক্রমণ করতে পারে। আসামি তার মাকে খুন করার পর কী করেছিল, সেই বিবরণও উঠে এসেছে আদালতে।

খুনের পর মস্তিস্ক, হৃদপিণ্ড, যকৃত, বৃক্ক, অন্ত্র এবং অন্য দেহাংশগুলি বার করেছিল সুনীল। সেগুলি একে একে রান্না করে সে। মৃতার পাঁজরের অংশ রান্না হয়ে গিয়েছিল। হৃদপিণ্ডটি রান্নার সময়ে গ্রেফতার হয় সুনীল। ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর কোলাপুর আদালতে মামলাটি চলছিল। ২০২১ সালে কোলাপুর আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দেয়। বর্তমানে পুণের একটি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে। মঙ্গলবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ফাঁসির সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত আসামিকে জানিয়ে দেয় হাই কোর্ট।

অন্য বিষয়গুলি:

Bombay High Court Kolhapur Maharashtra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE