প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাড়ায় জলের ট্যাঙ্কার এসে দাঁড়িয়েছিল। স্থানীয়রা সেই ট্যাঙ্কার থেকে পাইপের সাহায্যে জল নেওয়া শুরু করেন। কিছু ক্ষণ নেওয়ার পর পাইপ থেকে আর জল বেরোচ্ছিল না। তখন সবেমাত্র কয়েক জনই জল নিয়েছিলেন। ফলে জল ট্যাঙ্কার এত তাড়াতাড়ি খালি হওয়ার কথাও নয়। কিন্তু জল কেন আটকে গেল তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হুলস্থুল পড়ে যায়।
কারণ অনুসন্ধান করতে তখন ট্যাঙ্কারের চালক এগিয়ে আসেন। তিনি ট্যাঙ্কারের ঢাকনা খোলেন। সেটি খুলতেই দেখেন জলের মধ্যে একটি শাড়ি ভাসছে। বিষয়টিকে প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি। শাড়িটিকে টান মেরে বার করতে গিয়েই চমকে ওঠেন চালক। বুঝতে পারেন শাড়ির সঙ্গে ভারী কিছু আটকে রয়েছে। শাড়ি ধরে আরও টান মারতেই দেখেন ওই ভারী জিনিসটি আসলে একটি দেহ। আর তা দেখেই আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রাও কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। তাঁরা দেখেন, ট্যাঙ্কারের ভিতরে জলে ভাসছে এক মহিলার দেহ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণের ফুরসুঙ্গিএলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম কৌশল্যা মুকেশ চহ্বাণ। বয়স পঁচিশ। মহিলার শরীরে কোনও আঘাতে চিহ্ন মেলেনি। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য বাড়ছে। মহিলাকে কি খুন করা হয়েছে, নাকি নেপথ্যে অন্যে কোনও কারণ আছে? কী ভাবেই বা ট্যাঙ্কারের ভিতরে ঢুকেছিলেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, হান্ডেওয়াড়ি এলাকার দুগাড় চাওলের থাকতেন কৌশল্যা। স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। আদতে তাঁরা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, এক মাস আগে পুণেতে এসেছিলেন।
দিন কয়েক আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন কৌশল্যা। এক ব্যক্তি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy