—প্রতীকী চিত্র।
একতরফা পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয় পেল বিজেপি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরায়। সে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল গত ৮ অগস্ট। সোমবার থেকে শুরু হয় গণনা। মঙ্গলবার গণনার শেষ পর্যায়ের ফল জানাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি একাই জিতেছে ৫৯৪০টি আসনে! তাদের সহযোগী তিপ্রা মথা ১০২টিতে। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দুই সহযোগী কংগ্রেস এবং সিপিএম যথাক্রমে ১৪১ এবং ১৪৭টি আসনে জয়ী হয়েছে।
ভোটের আগেই ৬৩৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রায় চার হাজার কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির ৪২৩ আসনের মধ্যে ভোটের আগেই বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ২৩৫টি। বাকি আসনগুলির মধ্যেও অধিকাংশতেই পদ্ম চিহ্নের প্রার্থীরা জয়ী। তাদের ঝুলিতে মোট ৪০৫টি। কংগ্রেস ৮ এবং সিপিএম সাতটিতে জিতেছে। ১১৬টি জেলা পরিষদের আসনের ১১৩টি গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। কংগ্রেস ২ এবং সিপিএম ১টিতে জয়ী। তবে এরই মধ্যে উনকোটি গৌরনগর, সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়ায় ভাল ফল করেছে বিরোধীরা।
প্রায় তিন দশকের বাম শাসনে ইতি টেনে ২০১৮-র মার্চে বিধানসভা ভোটে আগরতলার কুর্সি দখল করেছিল বিজেপি। তার পর থেকেই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের পদত্যাগে ‘বাধ্য’ করানো শুরু হয় বলে অভিযোগ। সদস্যেরা পদ ছেড়ে দেওয়ায় ২০১৮-র ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ৩৫৬টি ব্লকের ৩৩৮৬টি আসনে পঞ্চায়েত উপনির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সে বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রায় ৯৬ শতাংশ আসন জিতে নিয়েছিল বিজেপি। এ বার অবশ্য তা নেমে এসেছে ৭১ শতাংশে।
এ বারও অবশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই সে রাজ্যে বিরোধী বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের তরফে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসা এবং ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছিল। জুলাই মাসের গোড়ায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার একটি জেলা পরিষদের আসনের সিপিএম প্রার্থী খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy