রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধীরা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে জিএসটি নিয়ে আক্রমণ করেন। আজ বিজেপি সাংসদেরাও জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ও রাজস্ব কর্তাদের প্রশ্নের মুখে ফেললেন। তবে প্রকাশ্যে নয়। সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে।
সূত্রের খবর, আজ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে তিন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, রবিশঙ্কর প্রসাদ ও অপরাজিতা সারঙ্গি অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মলহোত্র ও কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার আগরওয়ালকে জিএসটি নিয়ে কড়া প্রশ্ন করেন। দুবের প্রশ্ন ছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সির উপরে কেন জিএসটি বসানো হচ্ছে না? ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন, মুনাফার উপরে বাজেটে ৩০ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে। কিন্তু দুবে রাজস্ব সচিবকে বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে জিএসটি আদায় করলে বিপুল আয় হতে পারে। বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি প্রশ্ন করেন, সরকার ঠিক মতো হিসেব দিচ্ছে না। রবিশঙ্কর প্রসাদ জিএসটি রিফান্ড নিয়ে সরব হন।
বিজেপি সাংসদদের এই মনোভাব দেখে আজ বিরোধী শিবিরের সাংসদেরাও চমকে গিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ তোলেন, অগস্ট মাসে প্রকাশিত সিএজি রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আইজিএসটি থেকে আয় হওয়া ৩২,৫০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার ধরে রেখেছে। রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেয়নি। একে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার সামিল বলে দাবি করে সুখেন্দুশেখর বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সিএজি-র গুরুত্ত্ব লঘু করছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ঠিক সময়ে জিএসটি রিফান্ড না মেলায় ছোট-মাঝারি শিল্পগুলির সমস্যা হচ্ছে। রফতানিকারীরাও সমস্যায় পড়ছেন। জিএসটি চালুর পরে সাত বছর কেটে গেলেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সৌগত। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিংহও জিএসটি ব্যবস্থায় ছোট-মাঝারি শিল্পের সমস্যা নিয়ে বলেন, এই সংস্থাগুলির লাভের পরিমাণ সামান্য। কিন্তু তা না দেখে কাঁচামালের লেনদেনের উপরে জিএসটি-র বোঝা চাপানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy