গুজরাত এবং হিমাচলে কে কত শতাংশ ভোট পেল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গুজরাতে বিরাট জয়ের পথে বিজেপি। এই নিয়ে ৭ বার রাজ্যে সরকার গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল যা ভোট পেয়েছে, শতাংশের বিচারে তা আগের নির্বাচনগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে। একার ক্ষমতায় রাজ্যে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ভোট শতাংশের হিসাবই বলে দিচ্ছে, হাত ও ঝাড়ু এক হলেও মোদীরাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে ঠেকানো সম্ভব হত না।
ভোট গণনা চলছে গুজরাতে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১৫৪ আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ২টি আসনে তারা এগিয়ে। কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ) এই ২ দলের দখলে গিয়েছে ১৬টি এবং ৫টি আসন। বিজেপি গুজরাতে মোট ৫২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং আপ পেয়েছে যথাক্রমে ২৭.৩ শতাংশ এবং ১২.৯ শতাংশ। যার অর্থ, কংগ্রেস এবং আপের ভোট শতাংশ যোগ করলেও (৪০.২%), তা বিজেপির প্রাপ্ত ভোট শতাংশের চেয়ে ১২.৩ শতাংশ কম।
২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথম বার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় বিজেপি জিতেছিল ১২৭ আসনে। ভোট শতাংশের বিচারে সেই মাপকাঠিকেও এ বার ছাপিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনে বিজেপির ‘বি টিম’ হিসাবে লড়াই করেছে আপ। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের কারণেই গুজরাতে দেড়শো আসনের গণ্ডি পেরোতে পেরেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা যুক্তি, কংগ্রেস এবং আপ মিলিত ভাবে লড়লেও বিজেপির যাত্রাভঙ্গ হত না। ভোট শতাংশ নজরে রেখে ভোটপণ্ডিতদের একাংশের মত, কংগ্রেস এবং আপ মিলে গেলে বিজেপির আসন সংখ্যা হয়তো কিছু কমত। কিন্তু অঙ্কের হিসাব বলে দিচ্ছে, বিজেপির জয় নিশ্চিতই ছিল।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপসিংহ বাঘেলা বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং আপকে মানুষ বর্জন করেছেন। আরও এক বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গুজরাতে বড় জয় পেল বিজেপি। শুধু তা-ই নয়, সব রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে দল।’’
নির্বাচনের ফলাফলে খুব একটা আঁচড় কাটতে না পারলেও গুজরাতে চমক দিয়েছে আপ। ২০১৭ সালে প্রথম বার গুজরাতের বিধানসভা ভোটে ২৯টি আসনে লড়েছিল আপ। সব ক’টিতেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। ভোট পেয়েছিল সাকুল্যে ২৯,৫০৯টি (০.১ শতাংশ)। তার পর এই নির্বাচনে ১২ শতাংশের বেশি ভোট অনেকেরই নজর কেড়েছে। ভোটের ফলাফলের আঁচ পেয়েই আপ নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও বলেন, ‘‘এ বার আমরা জাতীয় দলের মর্যাদা পেলাম।’’
অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের দখলে গিয়েছে ৪০টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ২৫টি আসন। তবে ভোট শতাংশের বিচারে, কংগ্রেসের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছে গেরুয়া শিবির। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেস পেয়েছে ৪৩.৯ শতাংশ ভোট। বিজেপির দখলে গিয়েছে ৪৩ শতাংশ। দাগ কাটতে পারেনি আপ। কেজরীওয়ালের দল পেয়েছে ১.১ শতাংশ ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy