ফাইল ছবি
ত্রিপুরার বিজেপি সরকার সংবাদমাধ্যমকে নানা পথে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বলে এক
রিপোর্টে মন্তব্য করল এডিটর্স গিল্ডের প্রতিনিধি দল।
ত্রিপুরায় পুরভোট ও তার পরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র মতো আইনে মামলা দায়েরের খবরের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় এডিটর্স গিল্ড। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য ভারত ভূষণ, সঞ্জয় কপূর ও প্রদীপ ফাঞ্জৌবম। এ দিন রিপোর্ট প্রকাশের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকও করেন তাঁরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, পুরভোটের আগে ও পরে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ে বিপ্লব দেব সরকার সংবাদমাধ্যমে কেবল নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। প্রতিবেশী দেশে কিছু ঘটনাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চেয়েছিল তারা। ত্রিপুরায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে নানা উপায়ে কিছুটা চাপেও
ফেলেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু বাইরে থেকে ত্রিপুরায় যাওয়া সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সেই চাপের কৌশল সফল হয়নি।
ফলে দিল্লি থেকে যাওয়া দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সংঘাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ইউএপিএ-র অধীনে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত যে কোনও বক্তব্যকে ‘তৃণমূলের ষড়যন্ত্র’-এর তকমা দিতে চেয়েছে তারা।
এডিটর্স গিল্ডের প্রতিনিধিদের মতে, বিপ্লব দেব সরকার মনে করে তারা জাতীয় স্তরে বিজেপির নীতি মেনেই চলছে। তাঁদের মতে, বিজেপি মনে করে সংবাদমাধ্যম তাদের জাতীয়তাবাদী প্রকল্প রূপায়ণে সরকারের হাত ধরে চলবে। তাই ত্রিপুরা সরকারও তাদের বিরোধী সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে যে কোনও পথে হাঁটতে পিছপা হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy