কোন ওষুধ দিলে শাশুড়ির মৃত্যু হবে, এমনই পরামর্শ চেয়ে চিকিৎসককে ফোন করেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু পুলিশের কাছে সেই খবর পৌঁছতেই মহিলা দাবি করেন, শাশুড়ি নয়, কী ভাবে আত্মহত্যা করা যায়, তারই পরামর্শ চেয়েছিলেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায়।
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর সঞ্জয় নগরের। শাশুড়িকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। এক সংবাদমাধ্যমে চিকিৎসক দাবি করেছেন, সোমবার হোয়াট্সঅ্যাপে তাঁর কাছে একটি মেসেজ আসে। সেখানে এক মহিলা তাঁর কাছে জানতে চান কী ভাবে শাশুড়িকে কোন ওষুধ খাইয়ে ‘স্লো পয়জ়ন’ করে মারা যায়। চিকিৎসকের দাবি, কেউ যে এমন পরামর্শ চাইতে পারেন, তা-ও আবার একজন ডাক্তারের কাছে, সেই মেসেজ পাওয়ার পরই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
চিকিৎসকের আরও দাবি, তিনি মহিলার ওই প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিতে চানননি। বরং তাঁকে বলেন, ‘‘আমি একজন ডাক্তার। জীবন বাঁচানোই আমার কাজ। জীবন ছিনিয়ে নেওয়া নয়।’’ তার পরই তাঁদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান ওই চিকিৎসক। সেই অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে থানায় ডেকে পাঠায়। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে থানায় আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মহিলা দাবি করেন, অনলাইনে চিকিৎসকের ফোন নম্বর পেয়েছিলেন। তবে শাশুড়িকে নয়, তিনি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে ওষুধের পরামর্শ চেয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, মহিলা এমনও দাবি করেছেন যে, তাঁর শাশুড়িই এই উপায় জানার জন্য তাঁকে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। পুলিশ ওই মহিলার কাছ থেকে লিখিত বয়ান নিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে।