প্রতীকী ছবি।
ভরদুপুর। অফিসে কাজ করতে করতে ঘুমে চোখ ঢুলে আসছে। শরীর চাইছে ‘ব্রেক’, কিন্তু অফিস যে স্রেফ ‘কাজের’ জায়গা! বিশ্বের প্রতিটি অফিসেই কর্মীদের প্রশ্ন করলে এমন অভিজ্ঞতার কথা শোনা যাবে বিস্তর। এ বার সেই সমস্যার পাকাপাকি সমাধানে এগিয়ে এল বেঙ্গালুরুর একটি স্টার্ট আপ। সেখানে দুপুরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে কর্মীদের আধঘণ্টা ভাতঘুমের অধিকার স্বীকৃত হল।
বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা মানুষের ঘুমের সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এ বার তারা মন দিয়েছে কর্মীদের ঘুম নিয়ে। দুপুরে ক্লান্ত কর্মীদের একটু ঝিমিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে সেই অফিসে। সংস্থার দেওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক কর্মীর প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত ঘুম দেওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করা হল। পরিভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অফিসিয়াল ন্যাপ টাইম’। এহ বাহ্য, সংস্থাটি ভবিষ্যতে শান্ত, অন্ধকার ঘরে সুন্দর ভাতঘুম দেওয়ার পরিবেশ তৈরিতেও মন দেবে বলে দাবি করা হয়েছে। যাতে ওই সময়ের পরিবেশ কর্মীদের ভাল ঘুমের উপযোগী রাখা যায়।
Official Announcement 📢 #sleep #powernap #afternoonnap pic.twitter.com/9rOiyL3B3S
— Wakefit Solutions (@WakefitCo) May 5, 2022
সংস্থার কর্মীদের যে ইমেলটি পাঠানো হয়েছে, তাতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাসার গবেষণার উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কাজের মাঝে সামান্য একটু জিরিয়ে নেওয়া কিংবা ঘুম, কাজের মানোন্নয়নে সরাসরি সহায়ক।
এই সিদ্ধান্তে সংস্থাটি রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। টুইটারে কেউ বলছেন, এই পদক্ষেপ আমূল বদলে দেবে কর্পোরেট সংস্কৃতিকে, আবার কেউ সংস্থার সাহসিকতার প্রশংসা করছেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমনই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল সংস্থাটি। একবার তারা টানা ১০০ দিন ধরে প্রতি রাতে ৯ ঘণ্টা ঘুমোনোর জন্য শিক্ষানবিশদের এক লক্ষ টাকা করে দিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে শর্ত ছিল, ওই সংস্থার তৈরি তোষকে শুতে হবে শিক্ষানবিশদের। ঘুম বিশ্লেষণের বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তা খতিয়ে দেখা হত। ১০০ দিন শেষে, প্রত্যেক শিক্ষানবিশ হাতে পান নগদ এক লক্ষ টাকা। সেই সময় এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এ বার আরও বড় হইচই ফেলে অফিসে কাজের মাঝে আধঘণ্টার ভাতঘুম স্বীকৃত হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy