রায়ের পর লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলীমনোহর জোশী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী-সহ সবাইকেই বেকসুর খালাস করে দিল লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। মসজিদ ধ্বংসে অভিযুক্তদের মদত দেওয়ার প্রমাণ নেই, পর্যবেক্ষণ আদালতের। রায়ের পরেই আডবাণী জোশীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন আরও অনেকেই। রায়ের পর ‘হতাশ’ কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির।
বাবরি ধ্বংস মামলায় ৩২ অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম লালকৃষ্ণ আডবাণী। রায়ের পর ‘লৌহপুরুষ’ আডবাণী বলেন, ‘‘এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা অত্যন্ত খুশির খবর। অনেক দিন পর এমন খুশির খবর শুনলাম। স্পেশাল সিবিআই আদালতের এই রায়কে আমি স্বাগত জানাই। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রতি আমার এবং বিজেপির বিশ্বাস ও আস্থার জয় হল।’’
মামলায় আর এক বর্ষীয়ান অভিযুক্ত মুরলিমনোহর জোশী। এ দিনের রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন তিনিও। রায়ের পর তিনি বলেছেন, ‘‘এটা আদালতের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। অযোধ্যায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পিছনে যে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না, এটা তার প্রমাণ। আমাদের কর্মসূচি ও সমাবেশ কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল না। আমরা খুশি। এ বার প্রত্যেকেরই উচিত রাম মন্দিরের নির্মাণে মনোযোগ দেওয়া।’’
আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় আডবাণী-জোশীরা সবাই বেকসুর
আরও পড়ুন: শেষ গম্বুজটাও ভেঙে পড়তে দেখলাম ৪টে ৪৯ মিনিটে। ফিরে দেখা সেই দিনটি
রায়ের পরেই ফোন করে আডবাণী-জোশীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘লখনউ-এর বিশেষ সিবিআই আদালত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করেছে। এই রায়কে স্বাগত জানাই। দেরিতে হলেও বিচার ব্যবস্থার জয় হল।’’
অন্য দিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড। রায়ের সমালোচনা করে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমএম) সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, ‘‘আজ ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে কালো দিন। আদালত বলছে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না। আমাকে বোঝান, কোনও ঘটনা যে স্বতস্ফূর্ত নয়, সেটা প্রমাণ করতে কত দিন বা কত মাসের প্রস্তুতি লাগে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের শাস্তি হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে পুরষ্কৃত হয়েছেন এবং পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন।’’
রায়কে স্বাগত জানিয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘মসজিদ ভাঙায় যে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না, এমন রায় প্রত্যাশিতই ছিল। আমরা সেই অধ্যায় ভুলে গিয়েছি। বাবরি মসজিদ ধ্বংস না হলে রামমন্দিরের ভূমি পূজনই দেখতে পারতাম না আমরা। আমি এবং আমার দল আডবাণী, জোশী সহ যাঁরা বেকসুর খালাস হয়েছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy