সিসৌদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানার সমালোচনা কেজরীবালের। ফাইল চিত্র।
শুক্রবার সকালে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার বাড়িতে সিবিআই হানার ঘটনায় ফের জাতীয় রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার পরদ চড়ল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেছেন। টুইটের সঙ্গে আমেরিকার সংবাদপত্র ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ (এনওয়াইটি)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও পোস্ট করেছেন তিনি।
ওই প্রতিবেদনে দিল্লির শিক্ষাব্যবস্থায় ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়ার হাতেই রয়েছে দিল্লি সরকারের শিক্ষা দফতরের ভার। টুইটারে কেজরীবাল লিখেছেন, ‘যে দিন দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করা হয়েছে, আমেরিকার সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র এনওয়াইটি-র প্রথম পাতায় মণীশ সিসৌদিয়ার ছবি ছাপা হয়েছে, সেই দিনই মণীশের বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দেওয়া হল। সিবিআইকে স্বাগত। সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। অতীতেও অনেক তল্লাশি, অভিযান হয়েছে। কিছুই বার হয়নি। এ বারও কিছুই বার হবে না।’
ঘটনাচক্রে, শুক্রবার সকালে সিবিআই হানার পরে মণীশও ‘স্বাগত’ জানিয়েছিলেন। তিনি লেখেন, ‘সিবিআই এসেছে। ওদের স্বাগতম। আমরা খুবই সৎ। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশে যারা ভাল কাজ করেন, তাঁদেরকেই হেনস্থা করা হচ্ছে এ ভাবে। এই কারণে আমাদের দেশ এক নম্বর হতে পারল না’। সিবিআই সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, শুধু মণীশ নন, দিল্লি আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগের মামলার তদন্তের প্রয়োজনে শুক্রবার দিল্লির ২১টি ঠিকানায় অভিযান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে কেজরীবাল তাঁর দফতরে সিবিআই হানার ঘটনায় এতটাই ক্ষুব্ধ যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ‘কাপুরুষ’ এবং ‘সাইকোপ্যাথ’ বলে টুইট করেছিলেন। তুলনায় এ বার তাঁর প্রতিক্রিয়া অনেকটাই সংযত। কয়েক মাস আগে হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ঘটনাচক্রে, সে সময়ই কেজরীবাল ‘ভবিষ্যবাণী’ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির পরবর্তী নিশানা হতে চলেছেন সিসৌদিয়া। সেই পূর্বাভাস কার্যত মিলে গিয়েছে শুক্রবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy