উত্তরপ্রদেশের মেরঠে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে মৃত্যু হল খুনের মামলায় অভিযুক্তের। মৃতের নাম নইম বাবা ওরফে জামিল। শনিবার ভোরের দিকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশকে দেখে গুলি চালান অভিযুক্ত। পাল্টা গুলি চালান পুলিশকর্মীরাও। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নইমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের অভিযোগ রয়েছে নইমের বিরুদ্ধে। তাঁকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। ফেরার অভিযুক্তের খোঁজ পেতে ৫০০০০ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে পুলিশ। শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রেও খুনের মামলায় তাঁর খোঁজ চলছিল। একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের মামলায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেরঠে অভিযান চালায়। সেই অভিযানের সময়েই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে অভিযুক্ত নইমের।
পুলিশ সূত্রে খবর, নইম উত্তরপ্রদেশের লিসারি গেট এলাকায় নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়ে ছিল। নিজেরই সৎভাই, তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে খুনের অভিযোগ রয়েছে কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের ভাইয়ের দেহ উদ্ধার হয় হাত-পা বাঁধা অবস্থায়। গলা কাটা ছিল দেহের। আর বিছানার ভিতর থেকে ভ্রাতৃবধূ এবং দম্পতির তিন সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের সন্দেহ, ভোঁতা কোনও বস্তু দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
আরও পড়ুন:
কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে খবর। অভিযুক্তের ভাই পরিবার নিয়ে দু’মাস আগেই মেরঠের সুহেল গার্ডেন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। ওই এলাকাতেই ভাড়াবাড়ির কাছে একটি জমি কিনে বাড়ি তৈরি করছিলেন তিনি। পারিবারিক কোনও বিবাদের কারণে এই খুন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
মেরঠের এসএসপি বিপিন তাড়া জানান, পাঁচ জনকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত নইমের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মৃত্যু হয় তাঁর। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।